রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রকাশ কংগ্রেসের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস পার্টি রোববার জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে তাদের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে, যেখানে পাঁচটি প্রধান ইস্যুর উপর জোর দেয়া হয়েছেÑ বিশ্বের দরবারে ভারতের উপযুক্ত স্থান নিশ্চিত করা, প্রতিবেশী অঞ্চলগুলোকে নিরাপদ করা, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, জনগণের সুরক্ষা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। ‘ইন্ডিয়া’স ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্ট্র্যাটেজি’ শীর্ষক এই পরিকল্পনার খসড়া তৈরি করেছেন অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল ডি এস হুদা। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে উরি সন্ত্রাসী হামলার পর নর্দার্ন আর্মি কমান্ডার হিসেবে তিনি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক পরিচালনা করেছিলেন। হুদা এবং সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশের সাথে যৌথ এক সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বারাম বলেন যে, তার দল ক্ষমতায় গেলে জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে এই সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করবে। চিদাম্বারাম বলেন, তবে এই পরিকল্পনাগুলো আরও বিশদভাবে যাচাই করা হবে কারণ সরকারের বেশ কিছু প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো রয়েছে – ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজর বোর্ড, ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল এবং নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটি। তিনি বলেন, “এই প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোগুলো অতিক্রমের পর সরকার নিরাপত্তার প্রশ্নে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে”। চিদাম্বারাম বলেন, “আমরা অস্থায়ী ভিত্তিতে কোন নীতি গ্রহণ করছি না। সাময়িক উত্তেজনাবশতও কিছু করছি না আমরা। সতর্কভাবে গবেষণা করে আমরা আমাদের নীতি গ্রহণ করছি। আমরা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবো”। তার ভাষ্যমতে, হুদার পরিকল্পনা থেকে বেশ কিছু পরামর্শ গ্রহণ করেছে তার দল এবং চলতি মাসের শুরুর দিকে যে দলীয় ম্যানিফেস্টো প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানেও তার প্রতিফলন রয়েছে। জননিরাপত্তা বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করে হুদা বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তার প্রধান উদ্দেশ্য হলো – ‘জন-সুরক্ষা’Ñ জনগণকে রক্ষা করা। আমাদেরকে পরিবেশ বিপর্যয়ের সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে হবে এবং চাকরির সঙ্কটের সমাধান করতে হবে”। তিনি বলেন, “বিশ্বে ভারতের অবস্থান হবে কোথায়। বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর সাথে আমাদের সম্পর্কটা কেমন হবে”। তিনি আরও বলেন যে, ভারতকে অবশ্যই সিকিউরিটি কাউন্সিলে স্থায়ী অবস্থান পেতে হবে। জাতীয় নিরাপত্তা বিষয় পরিকল্পনায় কংগ্রেস বলেছে যে, তারা সন্ত্রাসের ব্যাপারে সবসময় ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, “লে. জেনারেল (অব.) ডি এস হুদা স¤প্রতি যেমনটা বলেছেন যে, ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সবসময় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের উর্ধ্বে রেখে পাকিস্তান এবং সীমান্ত সন্ত্রাসের ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে দেয়া হয়েছে”। “এটা দুঃখজনক যে জাতীয় নিরাপত্তা এবং সশস্ত্র বাহিনীকে নির্লজ্জভাবে রাজনীতিকীকরণ করেছে বর্তমান সরকার। প্রধানমন্ত্রী ও তার সহকর্মীদের এ জাতীয় সব ধরনের কর্মকাÐের তীব্র সমালোচনা করে কংগ্রেস পার্টি”। এসএএম।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন