নানাভাবে টাকা সেভিংস চেষ্টা করেও মাস গেলেই পকেট গড়ের মাঠ হয়ে পড়ে! টাকা বাঁচিয়ে চলা যতই অপ্রিয় হোক না কেন মাস শেষে যখন পকেটে কিছু বাড়তি পয়সা থাকে তখন কার না ভালো লাগে?এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আর খরচের হাত থেকে কষ্টের টাকা কিছুটা হলেও বাঁচাতে চাইলে মেনে চলুন এই উপায়গুলো-
১। আয়ের একটা নির্দিষ্ট অংশ প্রতি মাসেই জমাতে হবে আপনাকে। কি পরিমাণ অর্থ আপনি রাখছেন সেটা ব্যাপার না, ব্যাপার হলো আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা সেভ করছেন। আপনার প্রয়োজনের সময় এটি অনেক কাজে দেবে।
২। মাসের শুরুতেই খরচের একটা তালিকা বানান। কোন খাতে কত টাকা খরচ করবেন তাও ঠিক করে রাখুন। সেই অনুযায়ী খরচ করুন মাসের প্রথম থেকে।
৩। দিনের খরচের হিসাব আপনি মোবাইল ফোনেই রাখতে পারেন। শুধু খরচের হিসাব রাখা একটি অ্যাপস ডাউনলোড করে নিলেই হলো। আপনি যদি তা না পারেন তাহলে লিখে রাখার অভ্যাস করুন। আপনি যত বেশি লিখে রাখবেন আপনার খরচ তালিকা থেকে অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলো তত বেশি বাদ পড়বে। মাস শেষে খরচের হিসাব নিয়ে বসুন। এক ঘণ্টা সময় বের করে বসুন। কোথায় কত খরচ হলো, কিভাবে হলো খেয়াল করুন। কিসে বেশি খরচ হলো কিংবা আগামী মাসে কোন খরচটা কম লাগবে এসব নোট করে রাখুন।
৪। স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এই সিগারেটের নেশা যাদের আছে তাদের জন্য কঠিনতম কাজ এই সিগারেট ছাড়া কিন্তু কখনো হিসাব করে দেখেছেন কি শুধু মাত্র সিগারেটের পেছনে আপনার মাসে কত খানি টাকা চলে যায়?
৫। রুম থেকে বের হবার আগে মনে করে লাইট -ফ্যান বন্ধ করা, বাসন মাজা ও কাপড় ধোয়ার সময় অকারণে পানি ছেড়ে না রাখা, কাজ শেষ করে মনে করে গ্যাসের চুলা বন্ধ করা, রাতে ঘুমানোর আগে ওয়াই -ফাই কানেকশান এর মেইন সুইচ অফ করে দেয়া,প্রয়োজন ছাড়া এসি না ছাড়া – এসব ছোট ছোট অভ্যাসগুলো দেশের সম্পদ যেমন সংরক্ষণ করে , তেমনি কিছু অর্থেরও সাশ্রয় হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন