ইনকিলাব ডেস্ক
পাকিস্তানে ড্রোন হামলার প্রতিবাদে সুন্নী মুসলিমদের আয়োজিত এক বিক্ষোভ মিছিল থেকে তালিবান সমর্থিত জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম নাজারয়াতি গত বুধবার কোয়েটায় মার্কিন পতাকায় আগুন দিয়েছে। এর মাধ্যমে বিদ্রোহী আন্দোলনে শক্তি সঞ্চারিত হবে এবং এটাকে মানসুর প্রতিবাদ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের মৃত্যু নিশ্চিত করার পর মানসুরকে মাত্র ৯ মাস আগে শীর্ষনেতা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। মার্কিন ড্রোন হামলায় তার মৃত্যু হয়েছে। মোল্লা ওমর নিহত হয়েছেন ২০১৩ সালে। কিন্তু তার মৃত্যুর কথা প্রায় দুই বছর গোপন রাখা হয়। নিজ নামে দেয়া মানসুরের বিবৃতি অন্তর্দ¦ন্দ্ব এবং গ্রুপের মধ্যে বিভিন্ন দল-উপদলের সৃষ্টি করে। এর ফলে গত গ্রীষ্মকালে শুরু হওয়া শান্তি প্রক্রিয়ার দরজা বন্ধ হয়ে যায়।
তালিবানের একটি সূত্র জানিয়েছে, হত্যাকা-ের পূর্বে মানসুর নিজ হাতের একটি উইল ছেড়ে যান যাতে আখুন্দজাদেহকে তার উত্তরসূরী নির্বাচন করেছেন। এটা ছিল তাকে নির্বাচিত করার একটি স্পষ্ট আইনগত বৈধতার প্রমাণ।
পাকিস্তান বলেছে, মানসুরের হত্যাকা-ের মধ্য দিয়ে শান্তি আলোচনার পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে।
সরতাজ আজিজ বলেন, এ হামলার মাধ্যমে আফগান শান্তি প্রক্রিয়াকে অবহেলা করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ মাসেই আরো আগে ইসলামাবাদে শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান সম্মত হয়েছে। এর আগের এ ধরনের প্রক্রিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হয়নি। এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে দুই দফা শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত হয়। সূত্র : ওয়েবসাইট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন