ইনকিলাব ডেস্ক : সিরিয়ায় পাঁচ বছরের ভয়াবহ যুদ্ধে দুই লাখ ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। একটি পর্যবেক্ষণ সংস্থা গত বৃহস্পতিবার নতুন এই পরিসংখ্যান দিয়েছে। এদের মধ্যে জিহাদী নয়, এমন বিদ্রোহী গ্রæপের সদস্য ৪৮ হাজার ৫৬৮ জন এবং ৪৭ হাজার ৯৫ জন নিহত হয়েছে কট্টর জিহাদী ও সিরিয়ার নাগরিক নয়, এমন লোকজন। অবজারভেটরি নামক ওই সংস্থাটি জানায়, এ সময়ে ৫৬ হাজার ৬০৯ জন সরকারি সৈন্যসহ এক লাখ এক হাজার ৬৬২ জন আসাদপন্থী যোদ্ধা নিহত হয়েছে। এ ছাড়া নিহত তিন হাজার ৫২২ জনের কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। ২০১১ সালের মার্চ মাসে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ সূত্র থেকে নেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ব্রিটেনভিত্তিক এই সংস্থাটি নতুন এই পরিসংখ্যান তুলে ধরে। গত ২৭ ফেব্রæয়ারি সরকার ও সাধারণ বিদ্রোহীদের সঙ্গে আংশিক যুদ্ধবিরতির সময় প্রথম এই পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়। যুদ্ধবিরতির কয়েক সপ্তাহে অবজারভেটরি বলেছিলো, সহিংসতা ও প্রতিদিন মৃত্যুও ঘটনা নাটকীয়ভাবে কমে গিয়েছিলো। কিন্তু যুদ্ধবিরতির শুরু থেকেই দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে সংঘর্ষ চলে আসছিলো। এর আগে গত ২৩ ফেব্রæয়ারি অবজারভেটরি যে পরিসংখ্যান দিয়েছিলো, তাতে নিহতের সংখ্যঅ বলা হয়েছিলো দু’ লাখ ৭১ হাজার ১৩৮ জন।
অপর এক খবরে বার্তাসংস্থা আল জাজিরা জানায়, জাতিসংঘ দূতের মতে গত পাঁচ বছরে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে নিহত হয়েছে প্রায় ৪ লাখ মানুষ। সিরিয়াবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত স্টাফান দ্য মিস্তুরা এমন অনুমান করেছেন। ক্রমেই অকার্যকর হয়ে পড়া অস্ত্রবিরতি কার্যকর করতে বিশ্বশক্তিগুলোর প্রতি আহŸানও জানিয়েছেন তিনি। স্টাফান মিস্তুরা বলেছেন, নিহতের এ সংখ্যা তার ব্যক্তিগত অনুমান।
শুক্রবার তিনি আরও বলেন, এটি জাতিসংঘের কোনো আনুষ্ঠানিক পরিসংখ্যান নয়। তিনি বলেন, দুই বছর আগে আড়াই লাখ মানুষ নিহতের পরিসংখ্যান দেখেছিলাম আমরা। কিন্তু সেটা ছিল ২ বছর আগে। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার বহু অঞ্চলে প্রবেশ করতে না পারায়, জাতিসংঘ এখন আর নিহতদের সংখ্যা রাখে না। এছাড়া সিরিয়া সরকার ও বিদ্রোহীরাও পরস্পরবিরোধী সংখ্যা প্রদান করে। শনিবার সরকারি বিমান হামলায় দামেস্কের পূর্বে প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিহত হয়েছে ১৩ জন। এছাড়া হমসের বাব আল তারিক এলাকায় বিমান হামলা ও ব্যারেল বোমা হামলায় হতাহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। এএফপি, আল জাজিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন