ইনকিলাব ডেস্ক : তুরস্কের সীমান্তবর্তী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় শহর মারেয়া দখলে নেয়ার জন্য তুমুল যুদ্ধ শুরু হয়েছে। ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জিহাদিরা শহরটি দখল করার জন্য অভিযান শুরু করলে সেখানে সিরিয়ার বিদ্রোহী যোদ্ধাদের সাথে তীব্র লড়াই শুরু হয়। গত দুই দিনের এই সংঘর্ষে বেসামরিক লোকসহ কয়েক ডজন লোকের প্রাণহানি হয়েছে। গত শনিবার আইএস যোদ্ধারা ওই শহরটির দখল নিতে গেলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এরপর সিরিয়ার বিদ্রোহী গ্রুপের যোদ্ধাদের সাথে প্রচ- সংঘর্ষে জাড়িয়ে পড়ে আইএস জিহাদিরা। এই যুদ্ধের কারণে ওই এলাকায় বহু লোক আটকা পড়ে আছে। সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে জীবন হারানোর ভয়ে তারা নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারছে না।
আইএস জিহাদিরা কৌশলগত কারণে শহরটির দখল নিতে চাচ্ছে বলে গত শনিবার অবজারভেটরি গ্রুপ জানিয়েছে। গত শনিবার আইএস যোদ্ধারা দুটি গাড়িবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ওই শহরে হামলা চালায়। এর পর বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত শহরের যোদ্ধাদের সঙ্গে প্রচ- সংঘর্ষ শুরু হয়। ত্রাণকর্মীরা আশঙ্কা করছেন, এই যুদ্ধের ভেতরে হাজার হাজার বেসামরিক লোক আটকা পড়ে থাকতে পারে। ইসলামিক স্টেটের নেতৃত্বে মারেয়া শহরের ওপর আক্রমণ শুরু হয় রাতের অন্ধকারে। এর আগে প্রেসিডেন্ট আসাদের বিরোধী বিদ্রোহীরা তুর্কি সীমান্তের কাছে এই শহরটি নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল। প্রথম হামলা চালানো হয় গাড়িবোমা দিয়ে, আইএস জিহাদিরা সচরাচর যেভাবে হামলা করে থাকে। এরপর ইসলামিক স্টেটের ট্যাংকগুলোও এই হামলায় অংশ নেয়। এই হামলার পর ইসলামিক স্টেট জিহাদিরা কিছু গ্রাম দখল করে নেয়। জাতিসংঘ বলছে, এই লড়াইয়ের মধ্যে আটকে পড়েছিলেন অনেক বেসামরিক মানুষ। এ ছাড়া উদ্বেগ তৈরি হয়েছে যুদ্ধক্ষেত্রের খুবই কাছে তুর্কি সীমান্তে আশ্রয় নেয়া প্রায় এক লাখ ষাট হাজার মানুষের জীবন নিয়ে। তবে ইসলামিক স্টেট উত্তর সিরিয়ায় যখন এরকম বড় আকারে হামলা চালাচ্ছে, তখন অন্যদিকে তারা আবার চাপে আছে। কুর্দি এবং আরব মিলিশিয়ারা ইসলামিক স্টেটের কথিত রাজধানী রাকার উত্তরে হামলা চালাচ্ছে। তাদের সাহায্য করছে মার্কিন যুদ্ধবিমান। অপর এক খবরে বলা হয়, সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) গুরুত্বপূর্ণ অপর একটি ঘাঁটিতে অভিযান জোরদার করা হয়েছে। বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন