ইনকিলাব ডেস্ক : তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান সহিংসতা কবলিত সিরিয়ায় ইরান, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সেনা উপস্থিতির সমালোচনা করেছেন। অটোমান সাম্রাজ্যের হাতে কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের ৫৬৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ সমালোচনা করেন। কিন্তু ইরান ও রাশিয়া সিরিয়ার সরকারের আনুষ্ঠানিক অনুরোধে সেনা পাঠিয়েছে বলে দাবি করা হয়। এরমধ্যে রাশিয়া সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে এবং ইরান দিচ্ছে সামরিক পরামর্শ। অন্যদিকে, আইএস বা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নামে আমেরিকা কোনো অনুমতি ছাড়াই সিরিয়ায় সেনা পাঠিয়েছে। কিন্তু এ তিন দেশকে এক কাতারে ফেলে তুর্কি প্রেসিডেন্ট সমালোচনা করছেন। এদিকে এরদোগান যে মার্কিন সেনা উপস্থিতির সমালোচনা করছেন সেই আমেরিকার একান্ত মিত্র দেশ তুরস্ক। দু দেশই ন্যাটো সামরিক জোটের সদস্য। যদিও আভিযোগ আছে সিরিয়ায় সহিংসতা শুরুর পর থেকে আজ পর্যন্ত বিদেশি মদদপুষ্ট বিদ্রোহীদের জন্য অস্ত্র ও অর্থের চালান আসছে প্রধানত তুরস্কের ভেতর দিয়ে। এছাড়া, সিরিয়ার বহু সন্ত্রাসী নেতারা তুরস্কে অবস্থান করে এবং প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদের সরকারকে উৎখাতের জন্য কয়েক দফা তুরস্কের ভেতরে প্রকাশ্যে বৈঠক করেছে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট নিজেও সিরিয়া সংকটে সরাসরি আসাদ-বিরোধীদের পক্ষ নিয়েছেন। পাশাপাশি লাখ লাখ শরণার্থীকে ব্যবহার করে তুর্কি সরকার ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিশেষ সুবিধা নিচ্ছে বলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমালোচনা রয়েছে। রেডিও তেহরান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন