শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

গর্ভপাতের অনুমতি প্রার্থনা: জিকা থেকে রক্ষা পেতে ব্রাজিলে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন

প্রকাশের সময় : ৩০ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বা নারীদের গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়ার জন্য ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছেন দেশটির আইনজীবী, স্বেচ্ছাসেবী ও বিজ্ঞানীরা। ব্রাজিলে ২০১২ সাল থেকে বিশেষ কোনো পরিস্থিতি ছাড়া গর্ভপাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অন্তঃসত্ত্বা মা জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার অনাগত সন্তানের মস্তিষ্ক আক্রান্ত হতে পারে। ছোট মাথা নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুর সংখ্যা ব্রাজিলে হঠাৎ করে বেড়ে গেছে। জিকা ভাইরাস এর জন্য দায়ী কি না, এ ব্যাপারে এখনো শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রধান টমাস ব্যাচ বলেন, রিও ডি জেনিরোতে চলতি বছর অনুষ্ঠেয় খেলাগুলোতে এই ভাইরাসের প্রভাব ঠেকাতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এ খেলায় অংশগ্রহণকারী অ্যাথলেট ও পর্যটকদের এ ব্যাপারে সতর্ক হতে নির্দেশনা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে আইওসি। ব্রাজিলে জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা গেছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, এ পর্যন্ত ২৭০ জনের মধ্যে জিকা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। তিন হাজার ৪৪৮ জনের ওপর গবেষণা চলছে। ব্রাসিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনবিষয়ক অধ্যাপক দেবোরো দিনিজ বলেন, দরিদ্র মানুষ এই ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে, এ বছরের শেষে জিকার টিকা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা সতর্কতা জারি করে বলেছেন, এ বছর আমেরিকায় তিন থেকে চার লাখ লোক জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) গতকাল বৃহস্পতিবার আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, দুই আমেরিকা মহাদেশে ৩০-৪০ লাখ লোক জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। বিশ্ব সংস্থাটি বলছে, ভাইরাসটি ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং এই আশঙ্কায় ‘জরুরি দল’ গঠন করা হচ্ছে। এর আগেই লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়া জিকা ভাইরাস নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএইচও) জরুরি পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছিলেন একদল মার্কিন চিকিৎসাবিজ্ঞানী।
ডব্লিউএইচওর আমেরিকা মহাদেশ অঞ্চলের সংক্রামক রোগ এবং স্বাস্থ্য বিশ্লেষক-বিষয়ক প্রধান মার্কোস এসপিনাল গত বৃহস্পতিবার জেনেভায় বলেন, ‘জিকা ভাইরাসজনিত রোগে ৩০-৪০ লাখ মানুষ আক্রান্ত হতে পারে বলে আমরা মনে করছি।’ জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে জ্বর ও গায়ে র‌্যাশ ওঠার মতো কিছু সাধারণ উপসর্গ দেখা দেয়। কয়েক দিনে তা সেরে যেতে পারে। তবে গর্ভবতী মায়েরা আক্রান্ত হলে নবজাতকের মধ্যে জন্মগত ত্রুটি দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নবজাতক শিশুর মাথার আকার বিকৃত হওয়ার সঙ্গে এই ভাইরাসের সম্ভাব্য সম্পর্কের কারণে এ নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। জিকা ভাইরাস প্রথম ১৯৪৭ সালে আফ্রিকার উগান্ডায় ছড়ায়। তবে তা কখনোই মহামারি আকারে ছড়ায়নি। এবার নতুন করে দক্ষিণ আমেরিকার ব্রাজিলে গত বছরের মে মাসে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়। এডিস মশার কারণে ছড়ানো এই ভাইরাস ইতিমধ্যে ব্রাজিল ও এর আশপাশের ২০টির বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিবিসি, রয়টার্স।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন