শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

স্টিল্থ জঙ্গিবিমান বানাচ্ছে চীন

প্রকাশের সময় : ৩ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : আকাশে যুক্তরাষ্ট্রকে ফের চ্যালেঞ্জ ছোড়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে চীনে। এবার আর বাগ্যুদ্ধ নয়। প্রযুক্তির লড়াইতে মার্কিন বিমানবাহিনীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়তে চলেছে পিপলস লিবারেশন আর্মির বিমানবাহিনী। স্টিল্থ ফাইটার বা রাডার এড়িয়ে হানা দিতে সক্ষম এমন যুদ্ধবিমান তৈরি করেছে চীন। খুব শীঘ্রই চীনা বিমানবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে শক্তিশালী এই যুদ্ধবিমান। জে-২০ নামের এই স্টিল্থ ফাইটার যে চীন তৈরি করছে তা গোপন ছিল না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে এই ধরনের যুদ্ধবিমান তৈরি করা চীনের পক্ষে অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছিল।
২০১১ সালে প্রথমবার পরীক্ষামূলকভাবে এই বিমান আকাশে ওড়ায় চীন। ঘটনাচক্রে সে দিনই চীন সফরে গিয়েছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব রবার্ট গেটস। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কাকতালীয়ভাবে নয়, ইচ্ছাকৃতই মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের সফরের দিনে স্টিল্থ ফাইটার উড়িয়েছিল বেইজিং। তবে সে উড্ডয়ন ছিল নেহাতই পরীক্ষামূলক। তখনও জে-২০ নামে ওই যুদ্ধবিমানের নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হয়নি। আরো অনেক প্রযুক্তিগত পরিমার্জন বাকি ছিল। চীনা মিডিয়ায় সম্প্রতি একটি ছবি প্রকাশ পেয়েছে। তাতে বিমানঘাঁটির টারম্যাকে জে-২০ যুদ্ধবিমানের চলাচল এবং উড্ডয়ন দেখতে পাওয়া যায়। ওই ছবির ভিত্তিতেই চীনা মিডিয়া দাবি করে, জে-২০-র নির্মাণ কাজ শেষ। ওই স্টিল্থ ফাইটার চীনা বিমানবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তবে বিমানবাহিনীর তরফে সে কথা স্বীকার করা হয়নি। পিপলস লিবারেশন আর্মির এয়ার ফোর্স জানিয়েছে, জে-২০-র নির্মাণ কাজ শেষ। এখন চূড়ান্ত পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন চলছে। তবে খুব শীঘ্রই এই অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান চীনা বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে। স্টিল্থ ফাইটার হলো এমন যুদ্ধবিমান, যাকে প্রতিরোধ করা খুব কঠিন। বিশেষ প্রযুক্তির কারণে এই ধরনের যুদ্ধবিমানের গতিবিধি রাডারে ধরা পড়ে না। ফলে স্টিল্থ ফাইটার প্রতিপক্ষের এলাকায় ঢুকে পড়লেও, রাডার কিছুই বুঝতে পারে না। বিমানহানা প্রতিরোধের জন্য আগে থেকে কোনো প্রস্তুতি নেওয়া যায় না।
মার্কিন এফ-২২ র‌্যাপটর হলো বিশ্বের সেরা স্টিল্থ ফাইটার। চীনের হাতে তেমন কিছু ছিল না। জে-২০ তৈরি করে সেই অভাব পূরণের চেষ্টা করছে বেইজিং। তবে জে-২০ এখনও এফ-২২ র‌্যাপটরের সমান শক্তিশালী হয়ে ওঠেনি বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। সিনহুয়া, রয়টার্স, বিবিসি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন