ইনকিলাব ডেস্ক : জম্মু-কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মুফতি মুহাম্মদ সাঈদের আসনেই প্রার্থী হলেন পিডিপি নেত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। গত বুধবার তিনি অনন্তনাগ আসনের উপনির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেন। মেহবুবার বাবার মৃত্যুতে ওই আসনটিতে উপনির্বাচন আবশ্যক হয়ে পড়ে। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি মারা যান রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মুফতি মুহাম্মদ সাঈদ। কয়েকমাস ধরে রাজনৈতিক টানাপড়েন শেষে গত ৪ এপ্রিল পিডিপি-বিজেপি জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মেহবুবা। মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি বর্তমানে বিধায়ক না হওয়ায় তিনি অনন্তনাগ আসনটিতে নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিধায়ক না হয়েই মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সুবাদে তার পক্ষে নিয়ম অনুযায়ী ৬ মাসের মধ্যে বিধায়ক হওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। ৫৭ বছর বয়সী মেহবুবা মুফতি যখন মুখ্যমন্ত্রী হন তখন তিনি দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ কেন্দ্রের লোকসভা সদস্য ছিলেন। মনোনয়নপত্র দাখিল করার পরই পিডিপি নেত্রী আশা প্রকাশ করেন- লোকেরা পুনরায় তার বাবার কথা মনে করে করে তাকে নির্বাচিত করবে এবং এর ফলে তার বাবার ফেলে যাওয়া অসম্পূর্ণ কাজ তিনি সম্পূর্ণ করতে পারবেন। তিনি বলেন, ‘মানুষ মুফতি সাহেবের ওপরে আস্থা রেখেছে এবং আমাকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ দিয়েছে। আমি খুব আশান্বিত যে, লোকেরা একবার পুনরায় তার প্রতি বিশ্বাস রাখবে এবং আমাকে মুফতি সাহেবের অসম্পূর্ণ কাজ করার সুযোগ দেবে। এদিকে, মেহবুবাকে অবশ্য ফাঁকা মাঠ ছেড়ে দিতে রাজি নয় বিরোধীরা। উপনির্বাচন উপলক্ষে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে হিলাল আহমদকে ময়দানে নামানো হয়েছে। অন্যদিকে, ন্যাশনাল কনফারন্সের ইফতিকার মিসগর মেহবুবাকে চ্যালেঞ্জ করবেন। ১৯৯৬ সালে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে বিজবেহারা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন মেহবুবা। জি নিউজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন