মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুতে একটি বর্ডার পোস্টে হামলার খবর পাওয়া গেছে। দেশটির সংবাদমাধ্যম ইরাবতী-র দাবি, এ ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তত দুইজন সদস্য নিহত হয়েছেন। রবিবার অজ্ঞাত একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী সেখানে হামলা চালালে এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। ঠিক কারা এ হামলা চালিয়েছে তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে দেশটির একজন কর্মকর্তা হামলার পেছনে রোহিঙ্গাদের সংশ্লিষ্টতার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জ মিন তুন নামের একজিন কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, যে এলাকা হামলাটি চালানো হয়েছে সেটির নিয়ন্ত্রণ আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)-এর হাতে। হামলার জন্য তাদেরই দায়ী করেছেন তিনি। তবে এ ব্যাপারে কথা বলতে পরে বার বার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুইটি বর্ডার পোস্টের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত একটি সীমান্ত বেষ্টনীর কাছে এ হামলা চালানো হয়।
মিয়ানমারের ওয়েস্টার্ন রিজিওনাল মিলিটারি কমান্ড থেকেও এ হামলার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। কমান্ডের প্রধান কর্নেল উইন জ ও বলেন, মংডুর বর্ডার পোস্টে রাইফেল গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। তবে এর আগে একজন কর্মকর্তা দুইজন নিহতের কথা জানালেও হতাহতের ব্যাপারে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি মিলিটারি কমান্ডের প্রধান।
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার অজুহাত তুলেই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর জাতিগত নিধনযজ্ঞ শুরু করে মিয়ানমার। জীবন ও সম্ভ্রম বাঁচাতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সাত লাখেরও বেশি মানুষ। এখনও যারা দেশটিতে রয়ে গেছেন তাদের পরিস্থিতিকে নাৎসি কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের সঙ্গে তুলনা করেছেন জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ তদন্তে গঠিত জাতিসংঘ তদন্ত দলের সদস্য ক্রিস্টোফার সিদোতির এই তুলনা করেছেন। এর মধ্য দিয়েই প্রতীয়মান হয় যে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা বসতিগুলোর পরিস্থিতি কতটা দুর্বিষহ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন