পাখিদের ভালবেসে অনেক কিছুই করেন অনেকে। এবার অনন্য নজির গড়লেন তুরস্কের এক ট্রাক চালক। টানা ৪৫ দিন পাখির ডিম ফোটানোর সুযোগ দিয়ে নিজের আয় রোজগার বন্ধ রেখেছিলেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানী আঙ্কারার নিকটবর্তী আসাগি কাভুদরে নামক শহরে। জানা যায়, ঈদের ছুটির সময় নিজের উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন ট্রাকটি বাড়ির আঙিনায় কয়েকদিন না চালিয়ে রেখে দিয়েছিলেন ৪২ বছর বয়সী ট্রাক চালক বাহাতিন গুরসি। এই সময়েই ট্রাকের মধ্যে বাসা বাঁধে এক জোড়া পাখি। সেখানে কয়েকটি ডিমও পাড়ে তারা। ছুটি শেষে যখনই ট্রাকটি আবার পথে নামানোর জন্য সাফ সুতরো করতে যাবেন তখনই তার চোখে পড়ে ডিমসহ পাখির বাসাটি। তখনো পাখিটিকে চোখে পড়েনি তার।
ইঞ্জিন কেবিনের পেছনে বাসাটি বানানোয় ট্রাক চালু করলে পাখির বাসাটি ভেঙে যাবে। আর ডিমগুলোও হবে নষ্ট। ডিম আর বাসার শোকে নিশ্চয়ই মা পাখিটি অস্থির হয়ে উঠবে। এমন ভাবনাই পেয়ে বসেছিল গুরসির চিন্তার জগতে। তিনি কী করবেন বুঝতে পারছিলেন না। একদিকে মানবিক হৃদয়ে পাখিটির প্রতি ভালবাসা জেগে উঠছিল অন্যদিকে নিজের আয় রোজগারের বিষয়টি। বেশ ধন্ধে পড়ে গিয়েছিলেন তুরস্কের এই নাগরিক। অবশেষে তিনি তার এক আত্মীয়ের কাছ থেকে পরামর্শ নেন। সেই আত্মীয় তাকে বলেন, ডিম না ফোটা অবধি ট্রাক স্টার্ট না দিতে।
একমাত্র আয়ের উৎস এই ট্রাকটি বন্ধ রাখলে বন্ধ থাকবে উপার্জন। তবুও দমে যাননি বাহাতিন। একে একে টানা ৪৫ দিন অপেক্ষা করলেন। ৪৫ দিন পর গত সোমবার পাখিটির বাসায় তিনটি ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়েছে। এই সময়টাতে শিশুরা যেন ডিমগুলো নষ্ট না করতে পারে সে খেয়ালও রেখেছেন বাহাতিন। কিন্তু এরপরে যা ঘটেছে তা
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হবার পর ঘটনাটি সারা বিশ্বেই বেশ আলোড়ন তুলেছে। মানবতার এমন বিরল উদাহরণ মানুষের মুখে মুখে ফিরছে। সূত্র: ডেইলি সাবাহ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন