হাই তোলা নিয়ে নানা ধরনের তত্ত্ব চালু আছে। কেউ বলেন, ঘুম স্বল্পতা হাই তোলার অন্যতম কারণ। অনেকেই একে ঠাট্টা করে ‘ছোঁয়াচে’ বলে থাকেন। কিন্তু তা আসলে ঠিক না।হাই তোলার আশ্চর্য উপকারী দিকগুলি সম্পর্কে জানেন? জানলে অবাক হয়ে যাবেন! আসুন হাই তোলার উপকারী দিকগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
১।বিজ্ঞানীরা মনে করেন, হাই তোলার ফলে আমাদের হৃদপিণ্ডের গতি বাড়ে এবং চোখের পেশীগুলোর উত্তেজনা কমে।এর ফলে আমাদের ক্লান্তি কেটে যায়।চোখের পাশের অশ্রুগ্রন্থির উপর চাপ পরে। ফলে অক্ষিগোলক পানিতে ভিজে ওঠে।এতে আমাদের চোখ পরিষ্কার হয় এবং একই সঙ্গে আমাদের দৃষ্টি আরও স্বচ্ছ হয়।
২।হাই তোলা মস্তিষ্কের উত্তেজনা প্রশমিত করে মস্তিষ্ককে শিথিল করার পাশাপাশি মানসিক দক্ষতাও বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
৩।হাই তোলার ফলে আমাদের শরীরে, শিরায়-উপশিরায় অক্সিজেনের ঘাটতি দ্রুত পূরণ হয়।
৪।হাই তোলার ফলে শরীরে অনেক বেশি অক্সিজেন প্রবেশ করে। যখন আমরা হাই তুলি তখন ফুসফুসে অক্সিজেন প্রবেশ করে এবং ফুসফুস থেকে খারাপ বায়ু বা কার্বন ডাই অক্সাইড দ্রুত বের হয়ে যায়। এর ফলে মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সঞ্চালন এক ধাক্কায় অনেকটাই বৃদ্ধি পায়।
৫।হাই তোলা স্নায়ু তন্ত্রের উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। শুধু তাই নয় এই পদ্ধতিতে মস্তিষ্কের রক্ত প্রবাহ বা রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
৬।হাই তুললে মুখের ও বুকের মাংসপেশি প্রসারিত হয়। দীর্ঘ ক্ষণের শরীরের জড়তা কমে যায়।
৭।বিমান, এলিভেটর বা লিফটে করে উচ্চতায় ওঠার সময় অনেকের কানে ব্যথা, অস্বস্তি ও শ্রবণের নানা রকম সমস্যা হতে পারে (যেমন, কানে তালা লেগে যাওয়া)। এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে হাই তোলার মাধ্যমে। গবেষকদের মতে, যখন উচ্চতার দ্রুত পরিবর্তন হতে থাকে, সেই সময় হাই তোলা কানের বায়ুর চাপের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে।
৮।যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ও অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দাবি, হাই আমাদের শরীর এবং মস্তিষ্কের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। গ্রীষ্মকালে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা শীতকালের তুলনায় অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই গ্রীষ্মকালে শীতকালের তুলনায় অনেক বেশি হাই ওঠে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন