বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

নিওম মেগাসিটি সউদী যুবরাজের ভিশন ২০৩০-এর কেন্দ্রবিন্দুতে

সউদী আরবে মেগাসিটি নিওমের অবস্থান

বিজনেস ইনসাইডার | প্রকাশের সময় : ৩১ জুলাই, ২০১৯, ১২:০১ এএম

কনসালটেন্সি রিপোর্টগুলোতে এ মেগাসিটির আরো যে সব বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তার মধ্যে ৬টি উল্লেখযোগ্য।
বৈশিষ্টগুলো হচ্ছে প্রথম ফ্লাইং ট্যাক্সি। একটি রিপোর্টে বলা হয়, এই গাড়ি চালনা হবে মজা পাওয়ার জন্য, পরিবহনের জন্য নয়। দ্বিতীয় একটি বিশাল কৃত্রিম চাঁদ যা প্রতিদিন সন্ধ্যায় আলো ছড়াবে।
তৃতীয় সর্বাধুনিক নিরাপত্তা ও নজরদারি ব্যবস্থা। এতে ড্রোন, নিরাপত্তা ক্যামেরা এবং প্রত্যেক নাগরিকের গতিবিধি অব্যাহত ভাবে অনুসরণ করার জন্য চেহারা সনাক্ত করার প্রযুক্তি থাকবে।

চতুর্থ কৃত্রিম মেঘ তৈরির জন্য মেঘ বপন প্রযুক্তি থাকবে। বড় রকম বৃষ্টিপাত করানো হবে যা সউদী মরুভ‚মিতে প্রাকৃতিক ভাবে সম্ভব। পঞ্চম হলোগ্রাফিক শিক্ষকরা স্কুলের ক্লাসে পড়াবেন। নিওম-এর শিক্ষা ব্যবস্থা হবে শ্রেষ্ঠ।
ষষ্ঠ সব টুকিটাকি কাজ করে দেয়ার জন্য সর্বত্র থাকবে বিপুল সংখ্যক রোবট। আর অধিবাসী ও দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য রোবোটিক ডায়নোসরে পূর্ণ জুরাসিক পার্ক সদৃশ একটি দ্বীপ থাকবে।
সউদী আরবকে আধুনিকায়ন এবং জীবাশ্ম জ¦ালানির উপর থেকে নির্ভরতা কমিয়ে দেশটির অর্থনীতিকে বহুমুখী করার যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ভিশন ২০৩০-এর কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে নিওম মহাপ্রকল্প।
সউদী আরব বিশ্বের দ্বিতীয় তেল উৎপাদনকারী দেশ। তেল উৎপাদনে বিশ্বে সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। উৎপাদন সক্ষমতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে সউদী আরব সামান্য পিছিয়ে আছে।
নিওমের প্রধান নির্বাহী নাদমি আল নাসর বলেন, নিওমের সব কিছুই ভবিষ্যত ভিত্তিক ও দূরদর্শী। তিনি বলেন, আমরা সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করব।

সউদী সরকার যখন বলছে এই মেগাসিটি বিশ্বের মহাপ্রাণ ব্যক্তি ও সেরা মেধাবীদের আকৃষ্ট করবে তখন উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে যে এই মহাপ্রকল্পের তহবিল কোত্থেকে আসবে।
জার্নালের খবর মতে, নিওমের সাবেক কর্মচারীরা এবং এ প্রকল্প বিষয়ে ওয়াকিবহালরা জানেন না সম্ভাব্য তহবিল সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে এই মহাপরিকল্পনার কতটা বাস্তবায়িত হবে।
এ প্রকল্পের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে জার্নাল জানায়, মেগাসিটির পরিকল্পনা ও উন্নয়নের প্রাথমিক পর্যায়ের তহবিল বিদেশ থেকে আনা ঋণে মিটানো হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
Mustafizur Rahman Ansari ৩১ জুলাই, ২০১৯, ৬:০৯ এএম says : 0
Wrong investment
Total Reply(0)
Mayen Uddin ৩১ জুলাই, ২০১৯, ১০:১৮ এএম says : 0
সৌদি আরব দিন দিন ধ্বংসের পথে পা বাড়াচ্ছে।
Total Reply(0)
নাহিয়ান ৩১ জুলাই, ২০১৯, ১০:১৯ এএম says : 0
বিলাসিতাই সৌদিদের পতনের কারণ হবে। আল্লাহ তায়াতা তাদের হেদায়েত দান করুন।
Total Reply(0)
Azimul Hoque Akash ৩১ জুলাই, ২০১৯, ১০:১৯ এএম says : 0
বিভিন্ন দেশের মুছলিমরা না খেয়ে আছে সেদিকে খেয়াল নেই, সৌদিরা আছে ইহুদিদের মতো ভিলাশিতায়
Total Reply(0)
sharifuzzaman ৩১ জুলাই, ২০১৯, ১০:২১ এএম says : 0
আল্লাহতায়ালা মুসলীম জাতীকে সীমানা লঙ্গন থেকে মুক্ত রাখুন। আমিন।
Total Reply(0)
Assad Ahmed ৩১ জুলাই, ২০১৯, ১০:২১ এএম says : 0
সৌদি আরব ইসলাম বিরোধী কাজ করছে,আল্লাহ পাক তাদের প্রচুর অর্থ সম্পদের মালিক বানাইছেন, কিন্তু তারা আজ মুসলমানদের পক্ষে না দ্বারায় অমুসলিমদের পক্ষে কথা বলে.....
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন