শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ন্যাটোর সামরিক মহড়া শুরু, রুশ সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে সেনারা

প্রকাশের সময় : ৮ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

রাশিয়ার সীমান্তের কাছে ন্যাটো বাহিনী অবস্থান নিলে নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি হিসেবে দেখা দেবে : ল্যাভরভ
ইনকিলাব ডেস্ক : পূর্ব ইউরোপের দেশ পোল্যান্ডে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে ন্যাটো। ১০ দিনের এই মহড়ায় ২৪টি দেশের ৩১ হাজারের বেশি সেনা অংশ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান। ¯œায়ুযুদ্ধের পর এটিই ন্যাটোর সর্ববৃহৎ সামরিক মহড়া।
এমন শক্তির প্রদর্শনীতে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, রাশিয়ার সীমান্তের এত কাছে ন্যাটো সেনারা অবস্থান নিলে সেটি তার দেশের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি হিসেবে দেখা দেবে। ল্যাভরভ আরো বলেন, রাশিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি ন্যাটো যে সামরিক উপস্থিতি নিয়ে আসছে এবং অন্য দেশগুলোকেও যে ধরনের সেনা কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসছে এ বিষয়টিকে রাশিয়া মোটেই ভালোভাবে দেখছে না। দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাশিয়ার সার্বভৌম অধিকার ও শক্তি রয়েছে বলে তিনি জোরালোভাবে জানান দিয়েছেন।
পত্রিকাটি বলছে, এই মহড়ায় মার্কিন, ব্রিটিশ, পোলিশসহ ও ন্যাটোর ২৪টি দেশের সেনা ও হাজার হাজার সামরিক যান অংশ নিচ্ছে। পোল্যান্ডের সমুদ্র, স্থল ও আকাশপথে চলা এই সামগ্রিক মহড়ার নাম দেয়া হয়েছে এনাকোন্ডা-১৬। মহড়ায় ১৪ হাজার মার্কিন, ১২ হাজার পোলিশ ও ৮শ ব্রিটিশ সেনা অংশ নিয়েছে। বাকিরা এসেছে ন্যাটোর বাইরের দেশগুলো থেকে। ন্যাটো সম্মেলনের মাত্র সপ্তাহখানেক আগে এই মহড়া শুরু হলো। সম্মেলনে পোল্যান্ড ও বাল্টিক দেশগুলোতে একটা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সেনা মোতায়েন করার ব্যাপারে এই সম্মেলন থেকে ন্যাটো নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে এই মহড়াকে কেন্দ্র করে পূর্ব ইউরোপে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ারও আশঙ্কা রয়েছে। দু’বছর আগে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া নিয়ে রাশিয়া যে আক্রমণাত্মক অবস্থান নিয়েছিল তার পটভূমিতে সেখানে শক্তির জানান দিয়ে সদস্য দেশগুলোকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা বলে মনে হচ্ছে এই মহড়াকে। এনাকোন্ডা-১৬ নামের এই সামরিক মহড়া শুরু হয়েছিল ২০০৬ সালে এবং প্রতি দুই বছর অন্তর এটি হয়ে থাকে। তবে এবারের নতুন বিষয় হলো, প্রচলিত যেসব হুমকি আছে, সেগুলোর পাশাপাশি সাইবার হামলার মতন নতুন ধরনের হুমকি মোকাবেলায় ন্যাটো কতটা সমর্থ সেটি যাচাই করে নেয়া। অপর এক খবরে বলা হয়, ন্যাটোর ইতিহাসে সবচেয়ে বৃহৎ এই যৌথ সামরিক মহড়ায় ৩১ হাজারেরও বেশি সেনা অংশ নিচ্ছে। আসছে ন্যাটো সম্মেলনের মাত্র সপ্তাহখানেক আগে এই মহড়া শুরু হলো। পোল্যান্ড ও বাল্টিক দেশগুলোতে একটা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সেনা মোতায়েন করার ব্যাপারে এই সম্মেলন থেকে ন্যাটো নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাশিয়ার দিক থেকে সম্ভাব্য হুমকি নিয়ে উদ্বেগের পটভূমিতে চলছে এমন মহড়া। পোল্যান্ড থেকে বিবিসির সংবাদদাতা জানান, দুই বছর আগে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া নিয়ে রাশিয়া যে আক্রমণাত্মক অবস্থান নিয়েলি তার পটভূমিতে সেখানে শক্তির জানান দিয়ে সদস্য দেশগুলোকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা বলে মনে হচ্ছে এই মহড়াকে। তবে এবারের নতুন বিষয় হলো, প্রচলিত যেসব হুমকি আছে, সেগুলোর পাশাপাশি সাইবার হামলার মতো নতুন ধরনের হুমকি মোকাবেলায় ন্যাটো কতটা সমর্থ সেটি যাচাই করে নেয়া। মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটের বার্ষিক মহড়ার অংশ হিসেবে রাশিয়া সীমান্তের দিকে কুচকাওয়াজ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা। এর আগে ন্যাটোর সদস্য দেশ লিথুয়ানিয়ায় মার্কিন সেনাদের প্রবেশ নিয়ে রুশ-লিথুয়ানিয়া সীমান্তে রীতিমতো যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়। বাল্টিক সাগর এলাকার সদস্য দেশগুলোর সীমান্তে এবার সামরিক মহড়া চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ন্যাটো। এই মহড়ার ভিডিও ফুটেজে পদাতিক সেনা বহনকারী সাঁজোয়াযান স্ট্রাইকার এম-১১২৬ এবং মোবাইল গান সিস্টেম বসানো এম-১১২৮ ট্যাংককে লিথুয়ানিয়া সীমান্তের দিকে যেতে দেখা গেছে। এলাকাটি একেবারেই রাশিয়ার কাছাকাছি অবস্থিত। লিথুয়ানিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ১০ থেকে ২০টি ট্যাংক কালভারিজা শহর থেকে পানেভেইজ শহরের দিকে গেছে। ওই শহরের একটি শপিং মলে মার্কিন সেনারা সাধারণ লোকদের জন্য অস্ত্রের প্রদর্শনী করবে। গত ২৭ মে থেকে ন্যাটো সেনাদের বার্ষিক সামরিক মহড়া শুরু হয়েছে। এই মহড়া চলবে ১৫ জুন পর্যন্ত। এতে অংশ নিচ্ছে প্রায় দেড় হাজার সেনা এবং ৪০০টি ট্যাংক ও সাঁজোয়াযান। তবে বাল্টিক সাগর এলাকার দেশগুলোকে নিয়ে মহড়া শুরু হয়েছে ৩০ মে এবং চলবে ২২ জুন পর্যন্ত। এ মহড়ায় অংশ নেবে ১০ হাজার সেনা। বিবিসি, রয়টার্স, গার্ডিয়ান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন