শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

জর্জ ডব্লিউ বুশ ও টনি ব্লেয়ার মানবতাবিরোধী অপরাধী

নিউ কালচারাল ফোরামের জরিপ

প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ২০০৩ সালে যার সিদ্ধান্তে যুক্তরাজ্য ইরাক অভিযানে অংশ নিয়েছিল সেই সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত বলে বিশ্বাস করেন দেশটির এক-তৃতীয়াংশ তরুণ। ব্রিটিশ তরুণদের দৃষ্টিতে মানবতাবিরোধী অপরাধে সংশ্লিষ্টদের তালিকায় রয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের নামও। তবে সবচেয়ে বেশি মানবতাবিরোধী হিসেবে জার্মানির একনায়ক অ্যাডল্ফ হিটলারের নামটিই উচ্চারণ করেছেন বেশিরভাগ তরুণ। নিউ কালচারাল ফোরামের করা এক জরিপে উঠে এসেছে এমন তথ্য। কমিউনিস্টদের নৃশংসতাজনিত তথ্যগুলো সম্পর্কে ব্রিটিশ তরুণদের ধারণা কম বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম হাফিংটন পোস্ট জানিয়েছে, ১৬-২৪ বছর বয়সী ৮৮৩ জন ব্রিটিশের মধ্যে কালচারাল ফোরামের জরিপটি পরিচালনা করা হয়েছে। তাদের সামনে ২২ জন নেতার নাম রাখা হয়। জরিপে অংশ নেওয়াদের মধ্যে ৩৪ শতাংশই মনে করেন সাবেক লেবার নেতা টনি ব্লেয়ার মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। ৩৯ শতাংশ মনে করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত। যুক্তরাজ্যে যে কমিউনিস্ট স্বৈরশাসকদের নৃশংসতাগুলো তরুণ প্রজন্মকে জানানো হয় না এ জরিপটির মধ্যদিয়ে তাই প্রমাণিত হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
যাদের নাম তালিকায় রাখা হয়েছিল সবচেয়ে বেশি মানবতাবিরোধী অপরাধী হিসেবে অ্যাডল্ফ হিটলারকে শনাক্ত করেন ৮৭ শতাংশ তরুণ। তবে জরিপে অংশ নেওয়াদের ৮ শতাংশ জানিয়েছেন, তারা এ নাৎসি স্বৈরশাসককে চেনেন না। প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭০-এর দশকে কম্বোডিয়ান স্বৈরশাসক পল পটের শাসনামলে ৩০ লাখ মানুষের হত্যাকা-ের পরও পলের চেয়ে ব্লেয়ার আর বুশকেই বেশি মানবতাবিরোধী মনে করেন তরুণরা। এছাড়া জোসেফ স্ট্যালিনকে মানবতাবিরোধী অপরাধী বলেছেন ৬১ শতাংশ তরুণ আর সাদ্দাম হোসেনকে মানবতাবিরোধী বলেছেন ৭৫ শতাংশ তরুণ। টনি ব্লেয়ারের চেয়ে কম মানবতাবিরোধী অপরাধে সংশ্লিষ্ট বলে মনে করা হয় এমন নেতারা হলেন সেøাবোদান মিলোসেভিক (১৩ শতাংশ), জেনারেল পিনোশে (১৫ শতাংশ) এবং মাও সেতুং (২০ শতাংশ)।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সমাজতন্ত্রকে ইতিবাচক হিসেবে দেখেন ৪১ শতাংশ তরুণ। আর ২৮ শতাংশ তরুণের পুঁজিবাদের প্রতি একইরকমের অনুভূতি রয়েছে। ইলফোর্ড সাউথের এমপি ২০০৩ সালে ইরাকে যুক্তরাজ্যের অভিযানের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। জরিপটির ব্যাপারে হাফিংটন পোস্ট ইউকে-কে ইলফোর্ড বলেন, জরিপে যারা অংশ নিয়েছেন তারা হয়তো যুদ্ধবিরোধী পরিবার কিংবা সে ধরনের পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন। হাফিংটন পোস্ট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন