শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

কোনো অভিবাসীকে আটক করা যাবে না : ইইউ আদালত

প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোতে অবৈধভাবে প্রবেশকারী অভিবাসীদের শুধু অবৈধভাবে প্রবেশের কারণেই আটক করা যাবে না বলে রায় দিয়েছে ইইউ আদালত। রায়ে বলা হয়, ইইউভুক্ত দেশগুলোর বাইরের দেশ থেকে সংস্থাটির সদস্য দেশে অবৈধভাবে প্রবেশকারী কোনো অভিবাসীকে আটক করা যাবে না। এর পরিবর্তে যেসব অভিবাসী অবৈধভাবে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে অবস্থান করছে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে হবে। ইউরোপের শেনজেন পাসপোর্টমুক্ত এলাকা দিয়ে যারা অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশ করবে তাদের ক্ষেত্রে এ রায় কার্যকর হবে। ইইউ নীতির সমালোচকরা এতে ক্ষুব্ধ হলেও রায়টির বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে। বেলজিয়ামের ভুয়া ভ্রমণ নথি ব্যবহার করে ফ্রান্সে আসা ঘানার এক নাগরিকের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে এই রায় দেয় আদালত।
এর আগে ঘানার ওই নাগরিক সেলিনা আফামকে অবৈধভাবে ফ্রান্সে প্রবেশের দায়ে গ্রেফতার করে দেশটির পুলিশ। এটা ছিল অবৈধভাবে প্রবেশকারীদের দেশে ফেরত পাঠাতে ইইউর নীতি ‘রিটার্ন ডিরেকটিভ’র পরিপন্থী। ইইউ ডিরেকটিভ অনুসারে, স্বেচ্ছায় ইউরোপ ছাড়ার জন্য একজন নাগরিককে ৩০ দিন সময় দেয়া হবে। এরপরও জোরজবরদস্তি করা যাবে না। অথবা তার জীবন বিপদাপন্ন হয়ে উঠতে পারে এমন কিছু করা যাবে না। তবে নতুন এ রায় যুক্তরাজ্য এবং আয়ারল্যান্ডের জন্য প্রযোজ্য হবে না। কারণ তারা শেনজেনভুক্ত দেশ নয়।
এদিকে, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার দেশগুলো থেকে আসা শরণার্থী ও অভিবাসীদের প্রবেশ ঠেকাতে নতুন এক পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে ইউরোপিয়ান কমিশন। শরণার্থীদের ঠেকাতে ন’টি দেশকে বিশেষ আর্থিক সুবিধা দেয়ার কথা জানিয়েছে ইসি। যেসব দেশ থেকে শরণার্থীরা ইউরোপে আসছেন অথবা যেসব দেশকে রুট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে উদ্দেশ্য সেখানেই ¯্রােত ঠেকিয়ে দেয়া। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে জর্ডান, লিবিয়া, ইথিওপিয়া ও নাইজেরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার ৯টি দেশের সাথে আরো ব্যাপক অংশীদারিত্বের সঙ্গে কাজ করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে ইউরোপীয় কমিশন। নতুন এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ৭০ বিলিয়ন ডলারের একটি তহবিল গঠন করা হবে। যা মূলত উৎস ও রুট হিসেবে ব্যবহৃত দেশগুলোর সীমান্ত সুরক্ষা ও পাচারকারীদের প্রতিহত করতে ব্যবহার করা হবে। সিরিয়া, আফগানিস্তান, লিবিয়া ও ইরাকের মতন যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলগুলো থেকে দশ লাখেরও বেশি শরণার্থী ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে গত বছর ইউরোপে প্রবেশ করেছে। ঝুঁকিপূর্ণভাবে সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে নৌকাডুবিতে মারা গেছে হাজার হাজার মানুষ। এ অবস্থায়, ইউরোপমুখী মানুষের ¯্রােত বন্ধ করতে নতুন এই পরিকল্পনা। বিশেষ সুবিধার মধ্যে বাণিজ্যিক সুযোগ-সুবিধাও থাকবে। সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানোর সহায়তাও থাকতে পারে। তুরস্কের সাথে গত মার্চে চুক্তি করার পর থেকে গ্রিসে পালিয়ে আসা অভিবাসীর সংখ্যা কিছুটা কমেছে। এই চুক্তির আওতায় যুদ্ধ ছাড়া অন্য কোনো কারণে তুরস্ক হয়ে ইউরোপ যাওয়া অভিবাসীদের তুরস্কে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এসব অভিবাসীকে গ্রহণের বিনিময়ে ইউরোপ থেকে অতিরিক্ত আর্থিক সহায়তা এবং ইউরোপে ভিসামুক্ত যাতায়াত সুবিধা পাবে তুরস্ক।  রয়টার্স, এএফপি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন