এসি ছাড়াও প্রাকৃতিকভাবেই গরমে ঘর ঠাণ্ডা রাখা সম্ভব। এই গরম থেকে বাঁচতে এসি-ই কিন্তু একমাত্র ভরসা নয়। সবার ঘরে তো এসি নেই, আবার এসি থাকলেও ইলেকট্রিক বিলের ঠ্যালায় ছ্যাঁকা খেতে হয় মাসের শেষে৷ তাই আজ রইল প্রাকৃতিক উপায়ে ঘর ঠাণ্ডা রাখার কিছু কৌশল৷ আর সে সম্পর্কে আপনাদের জানাতেই আজকের এই লেখা।
১। ঘর ঠাণ্ডা রাখার জন্যে প্রথমেই যে কাজটি করতে হবে সেটি হচ্ছে যতটা সম্ভব দুপুরের সূর্যের প্রখর তাপ ঘরে আসতে না দেয়া। সেক্ষেত্রে দক্ষিণ ও পশ্চিম পাশের জানালা বা যেগুলোতে সরাসরি সূর্যের আলো পড়ে সেসব জানালার পর্দা বা উইন্ডো ব্লাইন্ড টেনে রাখুন এবং জানালাও বন্ধ রাখুন। আপনার গৃহের কোন অংশটিতে সবচেয়ে বেশি বাতাস আসা যাওয়া করে তা খেয়াল করুন। কোন দিক দিয়ে বাতাস বেশি আসে তা চিহ্নিত করুন। তাহলে আপনি সেই অংশের জানালা খোলা রাখতে পারবেন। এর ফলে সূর্যাস্তের পরেও আপনার ঘরে বাতাস আসা যাওয়া করবে।
২। বাসা অতিরিক্ত গরম থাকার আরও একটি কারণ হচ্ছে বিনা প্রয়োজনে ইলেক্ট্রনিক জিনিস অন করে রাখা। অনেককেই দেখা যায় কারণ ছাড়াই টেলিভিশন, ফ্যান, বাতি ইত্যাদি অন করে রাখেন। এর ফলে ঘরের তাপমাত্রা আরও বেড়ে গিয়ে অতিরিক্ত গরম আবহাওয়া তৈরি করে। তাই বিনা প্রয়োজনে এসব জিনিস বন্ধ করে রাখবেন। কাজ না থাকলে কম্পিউটার ও ল্যাপটপ বন্ধ করে রাখুন। কম্পিউটার ও ল্যাপটপ প্রচুর তাপ উৎপন্ন করে যা ঘরকে গরম করে ফেলে। তাই ঘর ঠান্ডা রাখতে চাইলে অপ্রয়োজনে এসব প্রযুক্তি চালিয়ে না রাখাই ভালো।
৩। সাধারণ বালব-টিউব পাল্টে ব্যবহার করুন এলইডি বাল্ব। কারণ ইনক্যান্ডেসেন্ট বাল্ব থেকে গরম হয়ে যায় ঘর। ঘরে জোরালো আলো জ্বালিয়ে রাখলে গরম বাড়বে। এ সময় খুব প্রয়োজন না হলে ঘরে জোরালো আলো জ্বালবেন না। ডিম লাইট বা টেবিল ল্যাম্প ব্যবহার করুন।
৪। বেশ কিছু ইন্ডোর প্লান্ট রয়েছে, যা বাড়ির মধ্যে রাখলে ঘর ঠান্ডা থাকে। যেমন অ্যালোভেরা, বস্টন ফার্ন, স্নেক প্লান্ট, উইপিং ফিগ, অ্যারিকা পাম ইত্যাদি। ঘরের বাতাসকেও শুদ্ধ করে এই গাছগুলি।
৫। রান্নার সময় ছাড়া গ্যাসের ওভেন বন্ধ করে রাখুন৷ আমাদের অনেকেরই অভ্যাস রয়েছে সারাদিন প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে গ্যাসের চুলা জ্বালিয়ে রাখা। এতে ঘরের তাপমাত্রা বাড়ে৷ গ্যাসও বেশি খরচ হয়৷
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন