বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

সরকারি সৈন্যদের সাফল্য দাবি লিবিয়ার সিরতে প্রচন্ড যুদ্ধ

প্রকাশের সময় : ১২ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : লিবিয়ার সিরতে পুনরুদ্ধারে সরকারি বাহিনীর সাথে আইএস জিহাদিদের প্রচন্ড লড়াই চলছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ইসলামিক স্টেটের (আইএস) দখল থেকে বন্দরনগরী সিরতে উদ্ধারে ত্রিপোলিভিত্তিক জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের নেতৃত্বে লিবিয়ার বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী এবং পদাতিকবাহিনী উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে বলে সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে। ইতোমধ্যে শহরটির উপকূলও দখল করতে সক্ষম হয়েছে তারা। কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, সিরতে যুদ্ধবিমান থেকে আইএসের অবস্থান লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালানো হচ্ছে। এছাড়া সমুদ্র থেকে নৌবাহিনীও আইএসের দখলে থাকা গুরুত্বপূর্ণ এলাকা লক্ষ্য করে মিসাইল হামলা চালাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার দেশটির নৌবাহিনী কমান্ডার রিদা ঈসা বলেন, আমাদের সেনারা পুরো সিরতে উপকূল নিয়ন্ত্রণ করছে। এ সময় সমুদ্রপথে আইএসের জিহাদিরা পালাতে পারবে না বলেও হুমকি দেন তিনি। মিসরাতা শহরভিত্তিক সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র মুহাম্মাদ আল-গাসরি বলেন, আমরা মনে করি, কয়েক সপ্তাহ নয়, বরং কয়েকদিনের মধ্যেই সিরতে শহর মুক্ত করা যাবে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সিরতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি এলাকা মুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে শহরের বিমানঘাঁটি, কয়েকটি সেনাক্যাম্প এবং আইএসের বধ্যভূমি রয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমাদের সবচেয়ে চিন্তার বিষয় তাদের স্নাইপাররা। কারণ, তারা বহু দূর থেকে গুলি করছে এবং আমরা তাদের দেখতে পাচ্ছি না। শহরের কেন্দ্রস্থলে পৌঁছতে এটি বড় বাধা হিসেবে কাজ করছে। উল্লেখ্য, সিরতে গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন কেন্দ্রের কাছে সরকারি বাহিনী এবং আইএস’র মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। এই সম্মেলন কেন্দ্র থেকেই আইএস জিহাদিরা ধর্মীয় দিকনির্দেশনা দিত। উত্তর লিবিয়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই শহরটি দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মুয়াম্মার গাদ্দাফির জন্মস্থান। সিরিয়া এবং ইরাকের বাইরে এই শহরেই আইএসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। মূলত তেলসমৃদ্ধ হওয়ায় শহরটির দখল সরকারি বাহিনী এবং আইএসÑ উভয়ের কাছেই খুব গুরুত্বপূর্ণ। গত মাস থেকেই শহরটি উদ্ধারে অভিযান শুরু হলেও সম্প্রতি আইএসের হাত থেকে ইরাক ও সিরিয়ার দুটি শহর উদ্ধারে সরকারি বাহিনীর সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে লিবিয়ায়ও অভিযানের তীব্রতা বাড়ানো হয়েছে। লিবিয়ার পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চল এখনো দুটি আঞ্চলিক প্রশাসনের মাধ্যমে শাসিত হচ্ছে। দুটি প্রশাসনই নিজেদের অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে। বিবিসি, আল-জাজিরা, রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন