ফেসবুকের লাখ লাখ ব্যবহারকারীর ফোন নম্বর অনলাইন ডাটাবেজে প্রকাশিত হয়ে পড়েছে। ফলে যেকেউ সেই নম্বর পেয়ে যেতে পারেন। ঝুঁকিটা সেখানেই। যেকেউ সেই নম্বর ব্যবহারকারীর একাউন্টে প্রবেশ করে তাকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিতে পারেন। তবে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। অনলাইন সিনেট এ খবর দিয়েছে। ওদিকে টেকক্রাঞ্চ রিপোর্ট করেছে যে, নিরাপত্তা বিষয়ক গবেষকরা বেশ কিছু ডাটাবেজে কমপক্ষে ৪১ কোটি ৯০ লাখ ব্যবহারকারীর রেকর্ড পেয়েছে।
পাসওয়ার্ড সুরক্ষিত নয় এমন একটি সার্ভারে এসব পাওয়া যায়। সিনেট বলছে, যেসব ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁস হয়েছে তার মধ্যে ১৩ কোটি ৩০ লাখই যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারী। আর এক কোটি ৮০ লাখ বৃটিশ। ফেসবুক কর্তৃপক্ষের এক মুখপাত্র বলেছেন, তারা ওইসব ফোন নম্বর সুরক্ষিত বা নিরাপদ করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। কিন্তু এরই মধ্যে ওই রেকর্ডগুলো ডুপ্লিকেট বা নকল করে ফেলা হয়েছে।
ফেসবুকের ওই মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই ডাটাবেজ পুরনো। গত বছর ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তথ্য পরিবর্তন করে। এর মাধ্যমে একজন ব্যক্তির ফেসবুক অন্যজন শুধু মোবাইল ফোন ব্যবহার করে খুলতে সক্ষম হবেন না। তাই ফেসবুক মনে করে এর আগেই দৃশ্যত এসব ডাটা সংগ্রহ করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে তারা যে ডাটাশিট লুফে নিয়েছে তা সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ফেসবুক একাউন্ট এখন পর্যন্ত অন্যরা ব্যবহার করতে পারছে এমন কোনো প্রমাণ আমরা দেখতে পাই নি।
সামাজিক এই নেটওয়ার্ক মনে করে যে ডাটা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে তা ফেসবুকের বর্তমান অকার্যকর ফিচার সম্বলিত। ব্যবহারকারীরা মোবাইল ফোন নম্বর ব্যবহার করে এতে প্রবেশ করতে পারতেন। ২০১৮ সালের মার্চে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা স্ক্যান্ডালের প্রেক্ষাপটে ফেসবুক ওই সার্চ টুল বন্ধ করে দেয়।
তবে সে যা-ই হোক, এবার এই ডাটাবেজ হাতিয়ে নেয়ার নেপথ্যে কে বা কারা, কি উদ্দেশে এটা করেছে তা বলতে পারছে না ফেসবুক। টেক ক্রাঞ্চ এবং নিরাপত্তা গবেষক সানিয়াম জৈন (তিনিই ফাঁস হয়ে যাওয়া ফোন নম্বরের কথা প্রথম দেখতে পেয়েছেন) কেউই বলতে পারছেন না ওই ডাটাবেজের মালিক কে। ওয়েব হোস্টের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করার পরই তা নামিয়ে ফেলা হয়েছে অনলাইন থেকে। ওদিকে গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফোন নম্বর দেয়ার বিষয়ে সতর্কতার পরামর্শ দিয়েছেন। এসব নম্বর দিয়ে ব্যবহারকারীকে বিপদে ফেলতে পারে অসাধু চক্র।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন