একই দিনে, কিছুটা সময়ের ব্যবধানে, জাতিসংঘের সাধারণ সভায় বক্তৃতা করতে উঠবেন নরেন্দ্র মোদি এবং ইমরান খান। কাশ্মীর নিয়ে গত এক মাস ধরে চলা কূটনৈতিক টানাপড়েন এবং বাক্-যুদ্ধের মধ্যে এই ‘সম্মুখযুদ্ধ’ কৌতূহলের কেন্দ্রে আসতে চলেছে এ মাসের শেষে।
আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ সভায় প্রথমে ভাষণ দেবেন মোদি। দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর বিশ্বনেতাদের সামনে এই প্রথম মোদির ভাষণ। মোদির পরেই বক্তব্য রাখবেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। গত মাসের শুরুর দিকে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার পর এই প্রথম জাতিসংঘের মঞ্চে দুই নেতা। স্বাভাবিক ভাবেই এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তুমুল আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
কাশ্মীর ইস্যুতে এক দিকে মোদি যেমন আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন জোগাড়ের চেষ্টা করেছেন। অন্য দিকে, ইমরান খানও এ নিয়ে সরব হয়েছেন। এই ইস্যুতে গত এক মাসে বার বারই আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে চলেছেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও চীনকে পাশে পেয়েছেন। জাতিসংঘে নিজেকে কাশ্মীরিদের ‘প্রতিনিধি’ হিসাবে আখ্যা দিয়ে বিশ্বের দরবারে উপত্যকার মানুষদের কথা তুলে ধরবেন বলেও আগেই মন্তব্য করেছিলেন ইমরান। অন্য দিকে, কাশ্মীর প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই রাশিয়া ও ফ্রান্সের সমর্থন পেয়েছে ভারত। এবং এটি যে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়, তা বার বারই বলে আসছে মোদি সরকার। ফলে সে দিনের সাধারণ সভায় ভারত-পাক, দু’দেশই যে কাশ্মীর প্রসঙ্গে নিজেদের পক্ষ সমর্থনে জোরাল যুক্তি তুলে ধরবে, তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন