বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

কৃষক আবে, রাখাল আবে!

প্রকাশের সময় : ১৩ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের প্রধানমন্ত্রী যদি রাখাল হন, তবে কেমন হবে? পেশাদার রাখালের মতোই গরুকে খাওয়ানো থেকে শুরু করে সব ধরনের পরিচর্যা করে নিজের তৃপ্তি মিটিয়েছেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। পুরো এক ঘণ্টার জন্য রাখালগিরি করলেও এই দিনের সিংহভাগ সময় পার করেন কৃষিকাজে, কৃষকের সাথে। ইয়ামাগাতা সফরে গিয়ে গ্রামবাসীর সাথে মিশেও গিয়েছিলেন তিনি। আর স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে পেয়ে ইয়াগামাতার কৃষকদের মধ্যেও ছিল উচ্ছ¡াসের ঢেউ। একটি গরুর খামারের কাছে গিয়েই মায়ার জালে জড়িয়ে পড়েন লিব্যারেল ডেমোক্রেটিক দলের প্রধান এই নেতা। প্রধানমন্ত্রীর সব প্রটোকল ভেঙে, গরু পরিচর্যায় নেমে পড়েন। নিজ হাতে গরুকে দেন খড়-পানি। গরুর অপলক দৃষ্টি এড়াতে পারেননি উল্লেখ করে শিনজো আবে বলেন, আমি যখন গরুগুলোকে খড়কুটো দিচ্ছিলাম, তখন তারা মাথা নেড়ে শান্তভাবে অপলকভাবে আমাকে দেখছিল। এটা আমার কাছে পরিষ্কার যে এরা অনেক মায়া তৈরি করে। এভাবে স্থানীয় কৃষকদের সাথে খামারিতে প্রায় এক ঘণ্টার মতো দেখভাল করেন তিনি। এই সময়, গরুর দুধ আহরণ থেকে শুরু করে লালন-পালনে লাভ-ক্ষতির অংকও বেশ কষে ফেলেন বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী এই প্রধানমন্ত্রী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানে ১ কোটি ৬ লাখ কৃষক ছিলেন। দিনে দিনে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখে। আর এই কৃষকদের অধিকাংশের বয়স ৬৬ বছরের ঊর্ধেŸ। আধুনিক জাপানি প্রজন্ম চাকরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় কৃষিকাজে আগ্রহী করে তুলতে ইয়ামাগাতায় সফর করেন আবে। কৃষিকে প্রাধান্য দিতে কৃষকদের তিনি বলেন, আমরা আবেনোমিক্স (আবেতত্ত¡) আওয়তায় আরো ২০ হাজার যুবককে কৃষিকাজে সম্পৃক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যাতে করে আমরা গরুর মাংস, দুধ বহির্বিশ্বে রপ্তানি করতে পারি। কৃষিকাজ মোটেই অযতœ আর অবেহেলার নয়। প্রাচীনকালে এই কৃষির অর্থ দিয়ে আজকের এই আধুনিক জাপান। তাই কৃষি ও কৃষকদের মূল্যায়ন করা সবারই উচিত বলে মন্তব্য করেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রিত্ব না থাকলে তিনি একজন আদর্শ কৃষক হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন। গেল বছরই মৌ চাষে নেমেছিল স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী আকিই আবে। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কোনো ব্যক্তি হিসেবে মৌচাষী আকিই আবে বেশ প্রশংসাও কুড়িয়েছেন স্বামীর কাছ থেকে। এর আগে গেল মার্চে ফুকুশিমা পরিদর্শনে গিয়ে দীর্ঘ ৫ বছর ধরে বন্ধ এক দুগ্ধ খামারে গিয়ে দুধ পান করে ফুকুশিমার তেজস্ক্রিয়তা ভীতি কাটিয়ে দেন। সাড়ে ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের রিজার্ভ রাখা এই দেশটি মূলত ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক ও অটোমোবাইল যন্ত্রপাতির জন্য বিখ্যাত। দেশটির অর্থনীতির ৯২ ভাগেরই যোগান আসে এসব থেকে। কৃষকদের আরো সম্পৃক্ত করতে তিনি স্থানীয় সরকারকে জোরালো ভূমিকা পালনের জন্যও তাগিদ দেন। ওয়েবসাইট।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন