ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চাইছে। যদিও সামরিক দিক দিয়ে ন্যাটো জোট রাশিয়ার চেয়ে বেশ দুর্বল। লন্ডনের এক রাজনৈতিক বিশ্লেষক রডনি শেক্সপিয়ার ইরানের প্রেস টিভির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ব্রিটেন বাল্টিক সাগরে সেনাসহ ভারী অস্ত্রশস্ত্র মোতায়েন করছে। আর বাল্টিক সাগর রাশিয়ার সীমান্ত-সংলগ্ন। ওই এলাকায় ন্যাটো আগে থেকেই আছে। এখন ব্রিটেন গিয়ে সেখানে ন্যাটোর শক্তি বাড়িয়েছে। শেক্সপিয়ার বলেন, ২০১৪ সালে ন্যাটো রাশিয়ার সঙ্গে সব ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা বাতিল করে। রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার কারণ পূর্ব ইউক্রেন ইস্যু। ন্যাটোর অভিযোগ, রাশিয়া পূর্ব ইউক্রেনে মিলিশিয়াদের সমর্থন দিচ্ছে। মস্কো যদিও ন্যাটোর এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। রাশিয়া বলছে, ইউক্রেন সমস্যায় পশ্চিমা সামরিক শক্তির হস্তক্ষেপ তাদের দেশটির সীমান্তের কাছে টেনে নিয়ে গেছে। আজ ইউক্রেন সমস্যায় যদি ন্যাটো যুক্ত হয়, তবে রাশিয়া আগামীতে সংকটের জন্য বিদেশি শক্তিকে দায়ী করতে পারবে। ইউক্রেন সমস্যা এখন ন্যাটোকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চালকের আসনে বসিয়ে দিয়েছে বলে মনে করেন শেক্সপিয়ার। তিনি বলেন, পূর্ব ইউক্রেন পরিস্থিতি এখন বিপজ্জনক। মস্কোর সঙ্গে কিয়েভের সম্পর্ক খারাপ হয় তখন, যখন ক্রিমিয়া গণভোটের ডাক দিয়ে ইউক্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে রাশিয়ার সঙ্গে যোগ দেয়। পূর্ব ইউক্রেনে এখনো সামরিক অভিযান চালাচ্ছে ইউক্রেন। সেখানে ইউক্রেন রাশিয়ার সমর্থনকারীদের ওপর অভিযান চালাচ্ছে। এই রুশ সমর্থকরা স্বায়ত্তশাসনের জন্য সংগ্রাম করছে। জাতিসংঘের হিসাবে, পূর্ব ইউক্রেনের সংঘাতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৯ হাজার লোক প্রাণ হারিয়েছে। ২০ হাজার লোক আহত হয়েছে। শেক্সপিয়ার বলেন, ন্যাটোর উচিত নিজ এলাকার সমস্যার দিকে নজর দেয়া। রাশিয়ার সীমান্তে সমরসজ্জা বাড়িয়ে ন্যাটো নিজেকে সত্যিই ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। শেক্সপিয়ার প্রশ্ন করেন, আজ যদি রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে সমরসজ্জা বাড়িয়ে দেয়, তাহলে কি তারা সেটা ভালোভাবে নেবে? বিশ্বের অস্ত্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এসব সংঘাতকে পুঁজি করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চায়। আর এটাই যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য, অর্থাৎ ইউক্রেনে টেনশন বাঁধিয়ে রাখা। আর এভাবেই রাশিয়ার সঙ্গে দ্ব›েদ্ব জড়িয়ে পড়তে চায় যুক্তরাষ্ট্র। উল্লেখ্য, রাশিয়ার সঙ্গে ন্যাটোর সম্পর্ক খারাপের কারণ ইউক্রেনের রাজনৈতিক সংকট। ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করা হবে কিনা, এ নিয়ে দেনদরবার চলছিল অনেকদিন ধরে। পূর্ব ইউরোপের অনেক দেশকে ন্যাটো তার সদস্য করেছে। রাশিয়াকে ইউরোপে একঘরে করার নীতি নিয়ে ন্যাটো এসব কর্মকাÐ চালিয়ে যাচ্ছে। আর এতে ন্যাটোকে পেছন থেকে মদদ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেস টিভি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন