শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

বর্ণবাদ অন্যতম জাতীয় সমস্যা

প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : বর্ণবাদ নিয়ে শেতাঙ্গ মার্কিনিদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ছে। দেশটির অনেক বেশি সংখ্যক শেতাঙ্গ নাগরিক এখন এই মত পোষণ করে যে, বর্ণবাদ অন্যতম জাতীয় সমস্যা। এ ধরনের মানসিকতা থেকে নাগরিকদের বিরত রাখতে সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি। এক সময় বর্ণবাদ নিয়ে এই ভাবনা ছিল দেশটির কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকদের মধ্যে। সাম্প্রতিক এক জনমত জরিপে নাগরিক ভাবনার এ তথ্য উঠে আসে। নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি স্কুল অব জার্নালিজম’র সহযোগিতায় এ জনমত জরিপ করে উব্লিও কে কালগ ফাউন্ডেশন। জরিপের উপসংহারে বলা হয়েছে, উল্লেখযোগ সংখ্যক শেতাঙ্গ মার্কিন নাগরিক বর্ণবাদী মানসিকতার বিলোপে উদ্যোগ নেয়ার পক্ষে। জরিপ তথ্য বিশ্লেষণে সমন্বয় করেন নর্থইস্টার্ন জার্নালিজম স্কুলের পরিচালক জনাথন কাফম্যান। তিনি বলেন, ‘চার্লসটন গির্জায় সন্ত্রাসি হামলা কিংবা কৃষ্ণাঙ্গ যুবক ফ্রেডি গ্রে’কে গুলি করে হত্যার মর্মস্পর্শী সংবাদ দ্রুত ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নাগরিকদের মধ্যে বর্ণবাদী চিন্তা সক্রিয় হয়ে উঠে। নিজ সম্প্রদায়ের কারো এ ধরনের মৃত্যু নতুন করে মানুষের চিন্তার জগতকে প্রভাবিত করে গভীরভাবে।
বিশ্লেষণে বলা হয়, ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে বরাক ওবামা নির্বাচিত হবার পর শেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকদের মধ্যে বর্ণবাদী মনোভাব কমতে শুরু করে। ২০০৯ সালে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, এনবিসি পরিচালিত এক জনমত জরিপে দেখা গেছে, দেশটির ৭৯ শতাংশ শেতাঙ্গ, ৭৮ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ এবং ৬৪ শতাংশ হিসপানিক নাগরিক একই অভিমত দিয়েছে। সাত বছর পর পরিচালিত আরেক জরিপে দেখা গেছে, বর্ণবাদ নিয়ে আগের ভাবনা থেকে সরে গেছেন অনেকে। ২০১৫ সালে পরিচালিত এ জরিপ বলছে, বর্ণবাদ নিয়ে ইতোপূর্বকার ভাবনায় আছেন ৩৩ শতাংশ শেতাঙ্গ, ২৬ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ এবং ৩৩ শতাংশ হিসপানিক নাগরিক। কালগ ফাউন্ডেশন বৃহস্পতিবার ঘোষণা দিয়েছে যে, বর্ণবাদী বৈষম্য অবসানে পথ খুঁজে পেতে আলোচনার জন্য তারা অচিরেই ট্রুথ, রেসিয়াল হিলিং এবং ট্রান্সফরমেশন কমিশন গঠন করবে। ১৯৯৫ সালে নিউইয়র্ক টাইমস/সিবিএস পরিচালিত জরিপে বলা হয়েছে, শেতাঙ্গ নাগরিকদের মাত্র ১৫ শতাংশ বলেছে বিদ্যমান অপরাধ আইন একপেশে এবং কৃষ্ণাঙ্গ স্বার্থবিরোধী। এ অভিমত ৫১ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকের। বছরান্তে এ মতামতে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। বিদ্যমান আইনকে কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক স্বার্থের বিরোধী ভাবা নাগরিকদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪-এ এবং কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকদের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭৭-এ। ওয়েবসাইট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন