শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

বাবরি মসজিদ ধ্বংস তরুণদের ঠেলে দিয়েছে আল-কায়েদায় : দিল্লি পুলিশ

প্রকাশের সময় : ১৫ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতে ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদে হামলা এবং ২০০২ সালে গুজরাটে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনায় প্রভাবিত হয়ে দেশটির তরুণরা আল-কায়েদায় যোগ দিয়েছে। তারা ভারতে আল-কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট’র (একিউআইএস) একটি ঘাঁটিও গড়ে তুলতে চেয়েছিল। গত রোববার আদালতে দায়ের করা এক তদন্ত প্রতিবেদনে এসব কথা জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ কর্তৃপক্ষ। গত বছরের ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে ভারতের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ আল-কায়েদার পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করে। গ্রেপ্তারকৃত আল-কায়েদার ওই পাঁচ সদস্যসহ মোট ১৭ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল। এর মধ্যে পলাতক রয়েছে ১২ জন। তাদের বিরুদ্ধে জামিন-অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে ইতোমধ্যে। ছয় মাস ধরে তদন্তের পর পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ গঠন করল। এক হাজারের বেশি পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রটি দিল্লির পাতিয়ালা কোর্টে বিশেষ সেশনস জজ রিতেশ সিংয়ের আদালতে জমা দেয়া হয়েছে। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েকজন জিহাদের উদ্দেশ্যে পাকিস্তান গিয়েছিল। তারা সেখানে জামাত-উদ-দাওয়া’র (জেইউডি) প্রধান হাফিজ সাঈদ, লস্কর-ই-তৈয়বা (এলইটি) প্রধান জাকি-উর-রহমান লখভিসহ কয়েকজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। এতে আরো বলা হয়, বিভিন্ন মসজিদে জিহাদি বক্তৃতা দেয়ার সময় সে (গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্ত সৈয়দ আনজার শাহ) মোহাম্মদ উমরের (পলাতকদের একজন) সঙ্গে পরিচিত হয়। তারা ভারতে মুসলিমদের ওপর নিপীড়নের কথা, বিশেষ করে গোধরা ও বাবরি মসজিদ ইস্যু নিয়ে আলোচনা করে। উমর তার জিহাদি আদর্শ ও বক্তৃতায় মুগ্ধ হয়। নিজেকে জিহাদের জন্য উৎসর্গ করে এবং পাকিস্তান থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদের প্রশিক্ষণ পেতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। উমর বর্তমানে পাকিস্তান থেকে সন্ত্রাসী কর্মকা- চালাচ্ছে বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। এতে আরো বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃত আবদুর রেহমান একজন পাকিস্তানি জঙ্গি এবং সে জঈশ-ই-মোহাম্মদের সদস্য সেলিম, মনসুর ও সাজ্জাদকে ভারতে নিরাপদ আত্মগোপনের জায়গা দিয়েছে। পরে ২০০১ সালে উত্তর প্রদেশে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে এসব জঙ্গি নিহত হয়। পুলিশের দাবি, পাকিস্তানের এ তিন জঙ্গি বাবরি মসজিদ ধ্বংসের প্রতিশোধ নিতে ভারতে এসেছিল এবং অযোধ্যায় রাম মন্দিরে হামলার পরিকল্পনা করেছিল। তবে তারা নিহত হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত পাঁচজন হলেন : মোহাম্মদ আসিফ, জাফর মাসুদ, মোহাম্মদ আবদুল রেহমান, সৈয়দ আনজার শাহ ও আবদুল সামি। এছাড়া ভারতের উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলোর কিছু তরুণ ইতোমধ্যে পাকিস্তানে গিয়ে একিউআইএসে যোগ দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে দিল্লি পুলিশ। এনডিটিভি, ইনডিয়ান এক্সপ্রেস।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
Tanvir ১৫ জুন, ২০১৬, ৩:০১ পিএম says : 0
musolman der arrest korar motlob
Total Reply(0)
Zabed ১৫ জুন, ২০১৬, ৩:০৭ পিএম says : 0
India er uchit musolman der upor nirjaton bondho kora
Total Reply(0)
Najbull Hosain ১৪ নভেম্বর, ২০১৯, ৯:২৮ পিএম says : 0
Eta ki rss terrorist er Al kayda
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন