ইসলামে সুন্দর ও ভালো নাম রাখার জন্য বলা হয়েছে। তাই তো দেখা যায়, রাসূল (সা.) নিজেই অনেক বাচ্চার নাম রেখেছেন এবং কারো অসুন্দর নাম শুনলে তা পরিবর্তন করে দিতেন। শিশু জন্মের সপ্তমদিনের মধ্যে নামকরণ করা উত্তম। নামের মাধ্যমে শিশুর সঙ্গে পিতা-মাতার বন্ধন তৈরি হয়। পিতা-মাতা ও পরিবার ওই নামেই ডাকে যে নাম তারা শিশুর জন্য নির্বাচন করে। তাইতো প্রাচীনযুগে বলা হতো- তোমার নাম থেকেই তোমার পিতার পরিচয় পাওয়া যায়। নাম রাখার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় প্রতি লক্ষ রাখা উচিত।
১. আল্লাহ তায়ালার কোনো নামের সাথে ‘আব্দ’ যোগ করে নাম রাখা যেমন, আব্দুল্লাহ, আব্দুর রহমান। হাদিস শরিফে এসেছে, নবি করিম (সা.) ইরশাদ করেন- আল্লাহর নিকট সর্বাধিক প্রিয় নাম আবদুল্লাহ ও আবদুর রহমান। (সহিহ মুসলিম)
২. কোনো নবির নামে নাম রাখা। রাসূলে করিম (সা.) ইরশাদ করেন- তোমরা নবিদের নামে নাম রাখ। (মুসনাদে আহমাদ)
৩. সাহাবি-তাবেয়ি কিংবা কোনো নেককার বুজুর্গের নামের সাথে মিলিয়ে নাম রাখা। এক হাদিসে এসেছে, নবি (সা.) বলেন, আমি তাদের (হাসান, হুসাইন ও মুহাসসিনের) নাম রেখেছি হযরত হারূন আলাইহিস সালামের সন্তানদের নামের সাথে মিলিয়ে। (মুসনাদে আহমাদ) আর নামের প্রভাব ব্যক্তির মাঝে প্রতিফলিত হওয়ার বিষয়টিও সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। (সুনানে আবু দাউদ)
হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন যে- কিয়ামতের দিন প্রত্যেককে তার নিজের নাম ও পিতার নামসহ ডাকা হবে। সুতরাং তোমরা সুন্দর নাম রাখ। (সুনানে আবু দাউদ)
এগুলো উত্তম নাম রাখার কিছু মূলনীতি। এছাড়াও যে কোনো ভালো অর্থের নামও রাখা জায়েজ এবং তা আরবি ছাড়া অন্য ভাষায়ও হতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন