ইয়েমেনের রাদায় অবস্থিত প্রায় পাঁচশত বছর পুরোনো মাদরাসা আল-আমিরিয়া। ষোড়শ শতাব্দীর এ মাদরাসাটিকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানা যায়। এটি ১৫০৪ সালে নির্মিত হয়েছিল ও এটি ইয়েমেনের তাহিরিদীয় স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন।
ইমারতটির অবস্থা ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত খারাপ অবস্থায় ছিল। ইরাকি বংশোদ্ভূত প্রতœতাত্ত্বিক সেলমা আল-রাদি এটি দেখার পর বিদেশি মিশন থেকে আর্থিক সাহায্য গ্রহণ করে বিশ বছরের অধিক সময় পর ইমারতটির অবস্থার উন্নতি ঘটান।
মাদরাসার স্থাপনাটি ২০০২ সালের ৮ এপ্রিল ইউনেস্কো সম্ভাব্য বিশ্ব ঐতিহ্যের সাংস্কৃতিক বিভাগে সদস্য হিসেবে ২০০২ সালের ৮ এপ্রিল অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
সংস্কার কার্যক্রমে ইমারতটিতে কাদাদ ব্যবহৃত হয়েছে। কাদাদ হল এক ধরনের প্রাচীন শিল্প যাতে পানিরোধী বহির্মুখী ও অন্তর্মুখী প্লাস্টার বিদ্যমান।
২০০৪ সালের প্রামাণ্যচিত্র কাদাদ, রি-ইনভেন্টিং আ ট্র্যাডিশন এ নির্মাতা ক্যাটেরিনা বোরেল্লি এই বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। সংস্কারকৃত ইমারতটি ২০০৭ সালে আগা খান স্থাপত্য পুরস্কার লাভ করে।
মাদরাসাটি বর্তমানে যাদুঘরে রুপান্তরিত হয়েছে। পর্যটকদের ভীর লেগে থাকে সবসময়। মাদরাসাটিতে অনেক পুরোনো একটি লাইব্রেরিও আছে। একটি স্কুল, মসজিদ এটির গুরুত্ব আরো বাড়িয়ে তুলেছে। সূত্র: উইকিপিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন