ইনকিলাব ডেস্ক : ইউক্রেন সংকটের সময় রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখলের ক্ষত ভুলতে পারছে না ন্যাটো জোট। সে কারণে রাশিয়াকে বাগে আনতে এবার বাল্টিক দেশগুলো ও পোল্যান্ড সীমান্তে ৪ হাজার অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিল ন্যাটো। কমলা বিপ্লবের কৌশলে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ তাদের নিয়ন্ত্রণে আনে রুশবিরোধী ইউক্রেনের শাসকগোষ্ঠীর একাংশ। তাদের মদদ দেয় ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্র। এরপরেই কার্যত দুই ভাগে ভাগ হয়ে ইউক্রেন। কিয়েভ ও খারকভের মধ্যে শুরু হয়ে যায় গৃহযুদ্ধ। কিয়েভপন্থিদের সমর্থন দেয় ন্যাটো। খারকভকেন্দ্রিক মিলিশিয়াকে সমর্থন দেয় রাশিয়া। এ নিয়ে সংঘাত যখন তীব্র ঠিক সেই সময়ই ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে নিজেদের অধীনে নিয়ে নেয় রাশিয়া। সোভিয়েত আমলে ক্রিমিয়া দ্বীপ ইউক্রেনকে উপহার দিয়েছিল রাশিয়া। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মস্কো ও কিয়েভের সম্পর্ক তিক্ত হওয়ায় গণভোট করে ফের ক্রিমিয়া নিজের অধীনে আনেন পুতিন। কৃষ্ণসাগরের উপকূলে ক্রিমিয়ার অবস্থান রণনীতিগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কৃষ্ণসাগর নিয়ন্ত্রণে থাকলে সিরিয়াসহ গোটা মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক সুবিধা পাওয়া যায়। এ ছাড়া কৃষ্ণসাগরের আশপাশে রয়েছে খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের বিরাট ভা-ার। জিনিউজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন