শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ব্রিটেনের ইইউ ছাড়ার পক্ষ ৭ পয়েন্ট এগিয়ে

প্রকাশের সময় : ১৬ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছাড়ার পক্ষে মত দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের অধিকাংশ নাগরিক। প্রকাশিত এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে বলে খবরে বলা হয়েছে। এদিকে, যুক্তরাজ্যে জনপ্রিয় সংবাদপত্র দি সান পত্রিকা তার পাঠকদের ইইউ ত্যাগ করার পক্ষে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। দি সানের স্বত্বাধিকারী মিডিয়া মোগল খ্যাত রুপার্ট মার্ডক। দি টাইমস পত্রিকা এবং ইন্টারনেট-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইউগভ পরিচালিত যৌথ জরিপের ফলে দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার চেয়ে ত্যাগ করার পক্ষটি ৭ পয়েন্টে এগিয়ে আছে। ২৩ জুন যুক্তরাজ্যে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এ গণভোটে যুক্তরাজ্যের নাগরিকরা রায় দেবেন, তারা বিশ্বের সবচেয়ে বড় আঞ্চলিক জোট ইইউতে থাকবেন কি থাকবেন না। এ গণভোটের রায়ের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। তাছাড়া এর প্রভাব পড়বে ইউরোপের রাজনীতি, অর্থনীতি, কূটনীতিসহ অনেক বিষয়ের ওপর। যদি যুক্তরাজ্যের মানুষ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার পক্ষে রায় দেন, তাহলে বিশ্বব্যবস্থায় যুক্তরাজ্যকে নতুন করে সবকিছু শুরু করতে হবে। গত সোমবার প্রকাশিত জরিপের ফলে দেখা যাচ্ছে, বিনিয়োগকারীদের অনিশ্চয়তা থেকেও অভিবাসন সমস্যা বড় করে দেখছেন ইইউবিরোধীরা। তাদের প্রচারে অভিবাসন সংকটকে ফোকাস করা হচ্ছে। জরিপে উঠে এসেছে, এখন পর্যন্ত ইইউ ত্যাগের পক্ষে যুক্তরাজ্যের ৪৭ শতাংশ নাগরিক। আর থাকার পক্ষে ৩৯ শতাংশ। সিদ্ধান্তহীন ভোটারের সংখ্যা ১১ শতাংশ। আর ৪ শতাংশ ভোটার বলেছেন, তারা গণভোটে অংশ নেবেন না। গত সপ্তাহে দি টাইমস-ইউগভ আরেকটি জরিপে ফল প্রকাশ করে। তাতে ইইউতে থাকার পক্ষের ভোটারা ১ শতাংশ এগিয়ে ছিল। এক সপ্তাহের মধ্যে সেই ব্যবধান কমিয়ে ইইউ ছাড়ার পক্ষটি ৭ পয়েন্টে এগিয়ে গেছে। গণভোটের সময় যতই এগিয়ে আসছে, ইইউবিরোধীরা ততই শক্তিশালী হয়ে উঠছে। রুপার্ট মার্ডকের দি সানে পাঠকের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, তারা যেন ২৮ সদস্যবিশিষ্ট ইইউ থেকে বের হয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট দেন। পত্রিকায় বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে সবাইকে ভোট দিতে আহ্বান জানানো হচ্ছে। স্বেচ্ছাচারী ব্রাসেলস থেকে আমরা অবশ্যই নিজেদের মুক্ত করব। এদিকে যুক্তরাজ্য যেন ইইউ না ছাড়ে সেজন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা থেকে যুক্তরাজ্যের বড় দুই দলের নেতারা পর্যন্ত এক হয়ে কাজ করছেন। এখন দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কী ঘটে। রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন