শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশের প্রাপ্তি কী?

বিবিসি বাংলা | প্রকাশের সময় : ৪ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:১৬ পিএম

২০১২ সালের পর থেকে ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানি বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফরে এসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় প্রসঙ্গক্রমে ভারতে ইলিশের অপ্রাপ্তির কথা তুলেছিলেন।

প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তা চুক্তির দিকে ইঙ্গিত করে বলেছিলেন, "পানি আসলে মাছও যাবে।"

প্রায় সাত বছর বন্ধ থাকার পর শারদীয় শুভেচ্ছা হিসেবে এবছর ভারতে পাঁচশ টন ইলিশ রপ্তানি করছে বাংলাদেশ। কিন্তু প্রত্যাশিত তিস্তার পানি আসেনি। বহুল আলোচিত তিস্তা চুক্তিটি কবে সেটাও অনিশ্চিত।

এই মুহূর্তে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দিনের সফরে ভারতে রয়েছেন।

এই সফরকালে তিনটি ইস্যু বাংলাদেশে নানাভাবে আলোচনায় আছে: ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় বাংলাদেশের খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম শতক ছুঁয়েছে, বিশেষ আদেশে ভারতে ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে আর ফারাক্কার সবগুলো গেট খুলে দেয়ায় আকস্মিক বন্যার শিকার হয়েছে বাংলাদেশ।

ঢাকার কাঁচাবাজারে ইলিশ আর পেঁয়াজের দরদাম করতে গিয়ে ক্রেতা বিক্রেতাদের কথাবার্তায় শোনা গেল এসব ইস্যু।


ভারতে পাঁচশ টন ইলিশ রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ।
মাছ-বাজারে বিক্রেতা যেমন বলছেন, বাংলাদেশ ইলিশ রপ্তানি না করলে দেশে দাম হয়তো আরেকটু কমতো, অপরদিকে ভারত রপ্তানি বন্ধ করেছে বলেই বাংলাদেশে এই লাগামহীন পেঁয়াজের দর।

ভারতের কিছু পণ্য ছাড়া বাংলাদেশের চলে না, সেটা যেমন অনেকে বোঝেন আবার দরকষাকষিতে ভারতকে ছাড় দেয়া হচ্ছে এরকম ভাবনাও আছে জনমনে।

পেঁয়াজ-বাজারে এক ক্রেতা ক্ষোভ জানিয়ে বলছিলেন, "ইন্ডিয়ায় পূজা হচ্ছে। এখানে পূজা হচ্ছে না? ৫শ টন ইলিশ পাঠিয়ে দিয়েছে, পেঁয়াজ বন্ধ করে দিয়েছে। ওদিকে তিস্তা বন্ধ করে দিয়েছে, ফারাক্কা বৃষ্টির দিনে খুলে দিবে, যখন দরকার তখন বন্ধ করে দেবে এটাই তো হচ্ছে নেগোসিয়েশন!"

ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশে কোন দল ক্ষমতায় রয়েছে তার ওপরে ভারত বাংলাদেশ সম্পর্কের মাত্রায় ভিন্নতা দেখা যায়।

অনেকের দৃষ্টিতে বাংলাদেশের পর পর দুটি বিতর্কিত জাতীয় নির্বাচনে জেতার পর ভারত আওয়ামী লীগ সরকারকে তুলনাবিহীন কূটনৈতিক সমর্থন দিয়ে গেছে।

অনেকেই বলছেন, দুটি নির্বাচনের পর আন্তর্জাতিক যে কোন চাপ সৃষ্টির বিপরীতে ভারতের অবস্থান ছিল আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে। এর ফলে আওয়ামী লীগ দল হিসেবে উপকৃত হয়েছে, টানা ক্ষমতায় টিকে আছে কিন্তু দেশের স্বার্থে দরকষাকষিতে পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ।

আরো পড়তে পারেন:
সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া যেভাবে বদলে দিচ্ছে জীবন

ফারাক্কা: যে ফর্মুলায় পানি ভাগাভাগি করে ভারত-বাংলাদেশ

সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার যত সুফল এবং কুফল


আমেনা মহসিন বলছেন, বাংলাদেশের চাওয়াগুলো বাংলাদেশ পাচ্ছে না।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক আমেনা মহসীন বিবিসি বাংলাকে বলেন, "যদি গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক চর্চা, সব দলগুলোকে নিয়েই বলছি, তারা যদি শক্তিশালী-ভাবে করতে না পারে তাহলে এ সমস্ত হস্তক্ষেপ আমরা দেখবো।"

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের আলোচনায় দেনা পাওনার হিসেব কষেন অনেকেই।

দু'দেশের মধ্যে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ভারতের রপ্তানি আয় তুলনামূলক বহুগুণ বেশি। তবে ২০১৯ সালেই প্রথমবার ভারত থেকে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। আগের বছরের তুলনায় এ প্রবৃদ্ধি প্রায় ৪৩ শতাংশ। যদিও ভারত থেকে আমদানি হয় এর থেকে প্রায় আটগুণ বেশি।

বাংলাদেশের প্রাপ্তির তালিকায় ভারতে পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পায় বাংলাদেশ, কিন্তু সেখানেও আছে নানা বাধা।

গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্ভাবনার অর্ধেকের মতো কাজে লাগানো যাচ্ছে।

"শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা, লাইন অব ক্রেডিট এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও অনেকটা এগিয়েছে বাংলাদেশ কিন্তু একটা বিষয় মনে রাখতে হবে প্রতিশ্রুতি আর তার বাস্তবায়নের মধ্যে একটা সমন্বয় সাধন করতে হবে। সেদিক থেকে আমাদেরও প্রচেষ্টা এবং সক্ষমতাটা বাড়াতে হবে। নেগোসিয়েশনের জন্য যতটা সক্ষমতা প্রয়োজন সেখানে আমাদের একটা ঘাটতি আছে বলে আমি মনে করি।"

এছাড়া প্রাপ্তির খাতায় বাংলাদেশ ভারত স্থল-সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন, বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা জটিলতা অনেকটা নিরসন হয়েছে এবং বেড়েছে আন্তদেশীয় যোগাযোগ।

সড়ক, রেল, নৌ এবং আকাশপথে এখন ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে দু'দেশের মধ্যে এখনো বেশ কিছু ইস্যু অমীমাংসিত রয়ে গেছে।

আর এই অমীমাংসিত ইস্যুগুলোতেই বাংলাদেশের অপ্রাপ্তি।


ফাহমিদা খাতুন বলছেন, দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্ভাবনার অর্ধেকের মতো কাজে লাগানো যাচ্ছে।
এর মধ্যে প্রথমেই আসে বহুল আলোচিত তিস্তা চুক্তির বিষয়টি। তিস্তা নিয়ে এখনো কোনো সুরাহা হয়নি। এছাড়া প্রতিশ্রুতির পরেও সীমান্তে হত্যা এখনো বন্ধ হয়নি। এছাড়া গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা না পাওয়া ছাড়াও আছে অভিন্ন নদনদী থেকেও পানির সুষম বণ্টনের প্রশ্ন।

আমেনা মহসীন বলেন, "ভারত মোটামুটি আমাদের কাছ থেকে যা চেয়েছিল বাংলাদেশ সবগুলোই পূর্ণ করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের চাওয়াগুলো বাংলাদেশ পাচ্ছে না।"

বাংলাদেশে যে বিপদে ভারতের সমর্থন প্রত্যাশা করে সেই রোহিঙ্গা ইস্যুতে কূটনৈতিক সমর্থনের অভাব দেখা যাচ্ছে।

আমেনা মহসীন বলেন, "আমাদের মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে যে ভারত নিজস্ব স্বার্থ দেখেই চলছে এবং তাদের জাতীয় স্বার্থে তারা যেটা মনে করছে তারা তাই করছে। তাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও তারা সেভাবে কার্ড প্লে করছে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও তারা সেভাবেই আছে।"

রোহিঙ্গা সংকট, নাগরিক-পঞ্জী আর পানি বণ্টনের মতো ইস্যুকে সামনে রেখে নতুন মেয়াদে ক্ষমতাসীন শেখ হাসিনা এবং মোদি সরকারের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে দিল্লিতে।

এই পটভূমিতে আসন্ন বৈঠক থেকে প্রাপ্তি কী হয় সেদিকেই নজর বাংলাদেশের মানুষের।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (9)
সোহাইল আহম্মদ বিন আব্দুসসামাদ ৪ অক্টোবর, ২০১৯, ২:৩০ পিএম says : 0
ভারতের কাছে থেকে আমরা যা পেয়ে থাকি।।১ মাদক । ২ অবৈধ অস্র।৩ অপ্রয়োজনে পানি। আরো পাই বডারে বাংলাদেশীদের মৃত লাশ যা আমদের কে শুধু ক্ষতি করে থাকে
Total Reply(0)
Imran Khan ৪ অক্টোবর, ২০১৯, ২:৩১ পিএম says : 0
গত ১২ বছরে আওয়ামীলিগ সময় মত ১ বালতি পানি আনতে পারে নাই,, সিমান্তে হত্যা বন্ধ করতে পারে নাই,,,, টানজিডের নামে,, হ্মমতা পাকাপোক্ত করেছে,,, কেন কথার প্রতিবাদ করতে পারে নাই
Total Reply(0)
Kamal Pasha Jafree ৪ অক্টোবর, ২০১৯, ২:৩১ পিএম says : 0
অসময়ে পানি আর লাশ।
Total Reply(0)
Md. Johirul Islam Abdal ৪ অক্টোবর, ২০১৯, ২:৩২ পিএম says : 0
সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি এবং বিংশ শতাব্দির সেরা কূটনীতিক সাফল্য হলো, ভারতে বিটিভির সম্প্রচারের সুযোগ তৈরী হওয়া, যদিও কেউ দেখবে যে না সেটা 1000000-/- শিওর
Total Reply(0)
jack ali ৪ অক্টোবর, ২০১৯, ৪:৫৭ পিএম says : 0
We didn't liberate our country to lick the foot of indai/china/mayanmer....these political leaders are there to loot our hard earned money and sending billions of dollars to other country.
Total Reply(1)
alim ৫ অক্টোবর, ২০১৯, ২:৩৬ পিএম says : 4
best comment.INDIAN foot-lickers should see this comment.
Mohammed Kowaj Ali khan ৪ অক্টোবর, ২০১৯, ৭:৪৭ পিএম says : 0
জাগো বাংলাদেশ। বিদায় করো জাতীয় বেঈমান, হায়ান ভারতীয় দালাল শয়তাননি। শয়তাননি ইসলামের শত্রু শশয়তাননি। ...ইনশাআল্লাহ।
Total Reply(0)
Mohammed Shah Alam Khan ৪ অক্টোবর, ২০১৯, ৮:২৯ পিএম says : 0
আমরা সবসময়ই ভারতকে দায়ী করে থাকি যে, বাংলাদেশকে ওরা ওদের বাজার বানিয়েছে। কথাটা অবশ্যই সত্য কিন্তু আমাদেরকে এটাও ভাবতে হবে আমরা স্বদেশ ভক্ত নই কাজেই আমরা স্বনির্ভরশীল হতে পারিনি। ভারত আজ যে শক্তিশালী দেশ এটা অর্জন করতে তাদেরকে ২০০ বছর বৃটিশের গোলামী করে শিক্ষতে হয়েছে কিভাবে নিজ পায়ে দাড়াতে হয়। আর আমরা মুসলমানেরা সেই বৃটিশ আমলে ভারত যখন আলাদা হচ্ছে তখন ‘হাতমে বিড়ি মুমে পান, লড়কে লেংগা পাকিস্তান’ এই শ্লোগান দিয়ে পাকিস্তান বানিয়েছিলাম। আর হিন্দুরা ২০০ বছর ধরে ইংরেজী শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে স্বদেশী আন্দোলন করে জীবন দিয়ে সবদিক থেকে নিজেদেরকে শক্ত করে তারপর স্বাধীন হয়েছে। সেসময়ে অতি সামান্য মুসলমান স্বদেশী আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিল। তাই শেষ মুহূর্তে ভারতের হিন্দুরা মুসলমানদের আলাদা হবার পাঁয়তারা দেখে তারা হিন্দুদের জন্যে নিজস্ব ভূমি তৈয়ার করার জন্যেই মুসলমানদেরকে সমর্থন দিয়ে তাদেরকে আলাদা করে দেয়। কিন্তু আমরা পূর্ব পাকিস্তানের অধিকাংশ বাসিন্দা বাঙালী যখন আলাদা হই আমরা কি ভেবেছিলাম যে, আমারা যারা এখানে (পূর্বপাকিস্তানে) মুসলমান আমরা কতটা যোগ্যতা অর্জন করেছি দেশ পরিচালনা করার জন্যে?? এসব না ভেবেই আমরা স্বাধীন হয়ে পশ্চিমা মোসলমানদের (উর্দু ভাষী) উপর নির্ভরশীল হয়ে পরি তাই দেশ পরিচালনা থেকে শুরু করে ব্যাবসাবানিজ্য সবকিছুর দায় দায়িত্ব পরে পশ্চিমাদের উপর। ফলে তখন আমাদের দেশে প্রতিটা জিনিষ আসতো পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আর তাই আমরা বলতাম পশ্চিম পাকিস্তানের বাজার পূর্বপাকিস্তান। এভাবেই আমরা পশ্চিমাদের উপর ক্রমান্বয়ে বিরুপ হতে থাকি একপর্যায়ে এটা স্বাধীনতার সংগ্রামে রূপায়িত হয়। এর ফল স্বরূপ ’৭১ সালে পূর্বপাকিস্তান স্বাধীন হয়ে বাংলাদেশ হয় এবং আমরা পকিস্তানের পরিবর্তে ভারতের উপর নির্ভরশীল হয়ে পরি। এখন পর্যন্ত আমরা নিজেরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারনি কাজেই আমাদের বড় বড় কথা বলা সম্ভব কিন্তু বাস্তবে সেটা ফলানো কোনভাবেই সম্ভব নয়। জননেত্রী শেখ হাসিনা অনেক গবেষণা করেই আজ তাঁর নীতি পরিবর্তন করে ভারতের সাথে তালমিলিয়ে নিজেকে শক্ত করার প্রচেষ্টায় আছে। ভারতও বুঝতে পেরেছে বাংলাদেশকে কিছুটা ছাড় না দিলে এরা আবার চীনের তাবেদার হয়েগেলে যেটুকু বাজার আছে সেটাও যাবে। কাজেই কিছুটা ছাড় অবশ্যই ভারত বানলাদেশকে দিচ্ছে যেমন দেশে স্থিতিশীলতা হবার জন্যে রাজনৈতিক মাঠের পরিবর্তনের প্রয়োজন মানে মুক্তিযুদ্ধের নীতি রাজনীতিতে সুপ্রতিষ্ঠিত করা, সেটাই এখন হচ্ছে। কাজেই ভারত আমাদেরকে দিচ্ছে না এটা যেমন সত্য তেমনই আবার আমাদেরকে নিজ পায়ে দাড়াবার সুযোগ করে দিচ্ছে সেটাও সত্য। এখন দেখার বিষয় নেত্রী হাসিনা কিভাবে এই অক্টপাশের হাত থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারেন...... আমার মনে হয় আল্লাহ্‌র রহমত ছাড়া এটা কোনভাবেই সম্ভব নয় তাই এখন আমাদের দেশের দায় দায়িত্ব একজন ঈমান্দার মুসলমানের হাঁতে আছে তাঁর হাঁতে থাকলেই দেশের পরিবর্তন সম্ভব বলে আমার বিশ্বাস। আমি আল্লাহ্‌র দরবারে মোনাজাত করছি তিনি যেন শেখ হাসিনাকে দীর্ঘজীবি করে দেশ ও দশের খেদমত করার ক্ষমতা দান করেন। আমিন
Total Reply(0)
হিমেল ১১ অক্টোবর, ২০১৯, ১১:৩৪ এএম says : 0
বাংলাদেশ
Total Reply(0)
হিমেল ১১ অক্টোবর, ২০১৯, ১১:৩৫ এএম says : 0
বাংলাদেশ
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন