শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

বাহরাইন থেকে দেশে ফিরলেন শায়খ হারুন আজিজী নদভী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৪৭ পিএম

বিশিষ্ট হাদিস বিশারদ ও ডিসকভারি ইসলাম বাংলা বিভাগের খতিব আল্লামা হারুন আজিজি নদভী গত বুধবার (২ অক্টোবর) ঢাকা এসে পৌঁছেছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বাহরাইনে সুনামের সাথে ইমাম এবং খতিবের বিশেষ দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
বাহরাইনের বিভিন্ন মসজিদে নিয়োজিত প্রায় অর্ধশতাধিক বাংলাদেশি ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের দেশে ফেরত পাঠানো শুরু করেছে দেশটির সরকার। বিগত বছর বাংলাদেশি এক মুয়াজ্জিনের হাতে বাহরাইনের এক ইমাম নৃসংশভাবে খুনের ঘটনার জেরেই এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাহরাইন।
সেই ধারাবাহিকতায় দেশে ফিরলেন বিশিষ্ট হাদিস বিশারদ ও ডিসকভারি ইসলাম বাংলা বিভাগের সমন্বয়ক খতিব আল্লামা হারুন আজিজি নদভী। তিনি দীর্ঘ ২২ বছর ধরে দেশটিতে সুনামের সাথে ইমাম এবং খতিবের বিশেষ দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
এদিকে, আল্লামা হারুন আজিজি নদভী দেশে ফেরায় বাহরাইন প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে শূন্যতা বিরাজ করছে। কারণ, তিনি  বাহরাইন প্রবাসীদের ধর্মীয় শায়খ ও অভিভাবক হিসেবে কাজ করে আসছিলেন।
প্রবাসী বাংলাদেশী ও বাহরাইনে বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, দেশটিতে পরিবার নিয়ে কর্মরত আরো দুই শতাধিক ইমাম ও মুয়াজ্জিনকে শিগগিরই ফেরত পাঠানো হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বাহরাইনের বিভিন্ন মসজিদে ২৫০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি ইমাম-মুয়াজ্জিন কর্মরত রয়েছেন। তারা ১৯৮০ সাল থেকেই অত্যন্ত সুনামের সাথে দেশটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। যার কারণে বাহরাইন সরকারও তাদের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করে।
কিন্তু ২০১৮ সালের ৪ আগস্ট হঠাৎ একটি অনাকা²িত ঘটনার পরই সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়। একটি মসজিদে কর্মরত বাহরাইনি ইমাম আবদুল জলিলকে একই মসজিদের বাংলাদেশী মুয়াজ্জিন কামাল উদ্দিন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর লাশ তিন টুকরো করে ফেলে।
ঘটনার পরই পুলিশ মুয়াজ্জিন কামাল উদ্দিনকে গ্রেফতার করে বিচারের সম্মুখীন করে। ২৭ জুলাই কামাল উদ্দিনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে আদালতের নির্দেশ কার্যকর করা হয়।
বাহরাইনে বাংলাদেশী ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের সংগঠন ‘ওয়াকাফ’ মনে করছে, গত বছর মসজিদের ভেতরে বাহরাইনি ইমাম আবদুল জলিলকে খুনের ঘটনায় দেশটির সরকার এমন আচরণ করছে।
জানা গেছে, আসলে কী অপরাধে বাহরাইন সরকার তাদের ফেরত পাঠানো শুরু করেছে সেটি তারাও ঠিকভাবে বুঝতে পারছেন না। ইতোমধ্যে ৬০ জনেরও বেশি ইমাম ও মুয়াজ্জিনকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
এদিকে বাহরাইনে বসবাসরত একাধিক ব্যবসায়ী সংগঠন গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ইমাম খুনের ঘটনার পর থেকেই বাহরাইন সরকার বাংলাদেশীদের নামে সব ধরনের ভিসা ইস্যু বন্ধ করে দিয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
Ataur ৪ অক্টোবর, ২০১৯, ২:০৮ পিএম says : 0
বাহরাইন সরকার ঠিক কাজই করেছেন।
Total Reply(0)
Ataur ৪ অক্টোবর, ২০১৯, ২:০৮ পিএম says : 0
বাহরাইন সরকার ঠিক কাজই করেছেন।
Total Reply(0)
Ataur ৪ অক্টোবর, ২০১৯, ২:০৮ পিএম says : 0
বাহরাইন সরকার ঠিক কাজই করেছেন।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন