স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি-জামায়াতের নাম করে, ব্লেইম-গেইমের আড়ালে দেশে শক্তিশালী বড় ধরনের জঙ্গি উত্থান হয় কি না তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক সেনা প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহবুবুর রহমান।
তিনি বলেন, আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, বাংলাদেশে এর আগে জঙ্গি উত্থান হয়েছিল। একই দিনে একই সময়ে ৬৩ জেলায় বোম্বিং হয়েছে।
রাজধানীর ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন মিলনায়তনে গতকাল শুক্রবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
সারাদেশে গুম, খুন, সাম্প্রদায়িক হত্যাকা- ও বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের গণগ্রেফতারের প্রতিবাদের এ সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল।
মাহবুবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ আজ চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। দেশ এক কঠিন ক্লান্তিকাল অতিক্রম করছে। আমরা আমাদের ব্যক্তি জীবন, গোষ্ঠি ও জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। প্রতিদিন গুম, খুনের ঘটনা আমাদের সবাইকে আতঙ্কিত করে তুলছে। হিন্দু-বৌদ্ধ পুরোহিত, খ্রিস্টান পাদ্রি এবং মুসলমানদের ইমাম হত্যার শিকার হচ্ছেন।
তিনি বলেন, সরকার এসবের দায় বিএনপি-জামায়াতের উপর চাপাচ্ছে। এতে যারা প্রকৃত অপরাধী-সন্ত্রাসী তারা উৎসাহিত হচ্ছে। তারা ধরা পড়ছে না। আইএস বলছে তারা এ হত্যাকা-গুলো করছে। আর সরকার বলছে দেশে আইএস নাই। তাহলে কারা এ হত্যাকা- করছে, তাদের ধরতে পারছে না কেন? এটা একটা ভয়ঙ্কর অবস্থা।
সাবেক এই সেনা প্রধান বলেন, আবহমান কাল ধরে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্পৃতি চলে আসছে। আজ সেখানে সারাদেশে সাম্প্রদায়িকতার বিষ বাষ্প ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। আমি ভয় করছি, বিএনপি-জামায়াতের নাম করে, ব্লেইম-গেইমের আড়ালে শক্তিশালী জঙ্গি উত্থান হয় কি-না। এ সময় সারাদেশে সাঁড়াশি অভিযানেরও সমালোচনা করেন তিনি।
জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান বলেন, সারাদেশে পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক আবহ তৈরি এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির য়ড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। কারো ফাঁদে পা দেয়া যাবে না।
হুমায়ন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া বক্তব্য রাখেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন