শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

আসামের এনআরসি প্রধানকে বদলির নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ অক্টোবর, ২০১৯, ৬:০৭ পিএম

আসামের এনআরসির তালিকা তৈরির কো-অর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলাকে মধ্যপ্রদেশে বদলির নির্দেশ দিল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। তবে যতদিন পর্যন্ত না এই বদলি প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত এনআরসি-র কো-অর্ডিনেটর হাজেলা সর্বোচ্চ মেয়াদে ডেপুটেশনে থাকবেন বলে জানিয়েছেন ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ।

শীর্ষ আদালতের আচমকা এই নির্দেশে বিব্রত ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার সরকার পক্ষের আইনজীবী, অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল হাজেলাকে বদলি করার কোনও নির্দিষ্ট কারণ আছে কিনা তা শীর্ষ আদালতের কাছে জানতে চান। তার প্রশ্নের জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন যে, ‘হ্যাঁ, একটি কারণ আছে।’ যদিও নির্দেশে সে কারণ দর্শানো হয়নি। আসামের নাগরিক তালিকা নিয়ে আসামে ক্রমশই ক্ষোভ বাড়ছে। গত মাসে একটি মুসলিম সংগঠন প্রতীক হাজেলার বিরুদ্ধে এনআরসি থেকে ‘প্রকৃত ভারতীয় নাগরিক’-দের নাম বাদ দেওয়া নিয়ে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করে। ধারণা করা হচ্ছে তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

প্রতীক হাজেলা (৪৮) আসাম-মেঘালয় ক্যাডারের ১৯৯৫ ব্যাচের আইএএস কর্মকর্তা। তাকে আসামের নাগরিক তালিকা সংশোধন করার জন্যে খসড়া তালিকার তদারকি করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। আসমের নাগরিক পঞ্জিকরণ একটি জটিল প্রকল্প যা সাম্প্রদায়িক এবং ভাষাতাত্বিক বিভাজন সম্পর্কিত বিতর্ককে উস্কে দিয়েছে। তাকে একজন দক্ষ টেকনোক্র্যাট হিসাবে দেখা হয়েছিল যিনি এই কাজটি সবচেয়ে ভালভাবে সম্পন্ন করতে পারেন। প্রতীক হাজেলা সেখানে ৫০ হাজার কর্মকর্তার একটি দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। আইআইটির ওই প্রাক্তন ছাত্রের নেতৃত্বে তৈরি হওয়া আসামের নাগরিক তালিকা নিয়ে নানা অভিযোগ ওঠে। তিনি রাজনৈতিক দলসমূহ ও নাগরিক সমাজ সংস্থার সমালোচনারও মুখোমুখি হন। এমনকি আসাম এনআরসি নিয়ে অভিযোগ জানান বেশ কয়েকজন বড়সড় বিজেপি নেতাও। তাদের অভিযোগ ছিল যে অনেক হিন্দু, যারা সেখানকার প্রকৃত নাগরিক, তাদের নাম বাদ গেছে নাগরিকদের সংশোধিত তালিকা থেকে।

আসামের এনআরসিতে নাম তোলার আবেদন করেছিলেন ৩ কোটি ৩০ লাখ ২৭ হাজার ৬৬১ জন। তার মধ্যে চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পায় ৩ কোটি ১১ লাখ ২১ হাজার ৪ জনের নাম। মোট ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ জনের নাম চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়ে, এমনটাই জানানো হয়েছে এনআরসির রাজ্য কো-অর্ডিনেটরের দফতরের পক্ষ থেকে। বাদ পড়া ব্যক্তিরা তালিকা প্রকাশের ১২০ দিনের মধ্যে ফরেনার্স ট্রাইবুনালে নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্যে আবেদন করতে পারবেন বলেও জানানো হয়। সূত্র: এনডিটিভি।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন