মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

মনিপুর কেন স্বাধীনতা ঘোষণা করলো

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ নভেম্বর, ২০১৯, ১:৪৮ এএম

মনিপুরের স্বাধীনতাকামী নেতারা মঙ্গলবার ভারত থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। তারা লন্ডনে প্রবাসী সরকার গঠন করেন। তারা মনিপুরের মহারাজা লেইশেম্বা সানাজাওবার নির্দেশে এই স্বাধীনতা ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো কেন তারা এ ধরনের ঘোষণা দিলেন। মিয়ানমারের সীমান্ত লাগোয়া এই রাজ্যের উত্তরে রয়েছে ভারতের নাগাল্যান্ড রাজ্য, পশ্চিমে আসাম ও দক্ষিণে মিজোরাম। নয়া দিল্লি ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের দুই বছর পর ১৯৪৯ সালে সাবেক এই রাজন্য শাসিত রাজ্যটি ভারতের অংশ হয়। কিন্তু এই রাজ্যের জনগণ স্বাধীনতার দাবিতে কয়েক দশক ধরে সশস্ত্র সংগ্রাম করছে বলে বলে আল জাজিরার এক খবরে বলা হয়েছে। মনিপুরের শেষ শাসক বোধচন্দ্র সিংহ ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার চুক্তিতে সই করেন। তার ভয় ছিলো বার্মা (বর্তমান মিয়ানমার) হয়তো মনিপুর দখল করে নেবে। ভারতের ছোট রাজ্যগুলোর একটি এই মনিপুর, জনসংখ্যা মাত্র ২৮ লাখ। এটা সেভেন সিস্টার্স নামে পরিচিত ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যের একটি। এই অঞ্চলের রাজ্যগুলোতে স্বাধীনতার দাবিতে শতাধিক গ্রুপ আন্দোলন করে যাচ্ছে। এসব গ্রুপের কোনটি শুধু রাজনৈতিক, আবার কোনটি সশস্ত্র। ভারতের সেন্টার ফর ডেভলপমেন্ট এন্ড পিস স্টাডিজের তথ্যমতে, মনিপুরে প্রথম বিদ্রোহের সূচনা হয় ১৯৬৪ সালের ২৪ নভেম্বর, ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (ইউএনএলএফ) গঠনের মধ্য দিয়ে। এর কারণ ছিলো মনিপুরকে জোর করে ভারতের সঙ্গে একীভূত করা এবং একে পুরোপুরি রাজ্যমর্যাদা দানে বিলম্বিতকরণ। রাষ্ট্র ক্ষমতা পাওয়া ছিলো মনিপুরবাসীর আকাক্সক্ষা। এরপর স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে আরো কয়েকটি সশস্ত্র সংগঠন। ১৯৭৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর গঠিত হয় পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ), ১৯৭৭ সালের ৯ অক্টোবর গঠিত হয় পিপলস রেভ্যুলেশনারি পার্টি অব কাংলোইপাক (পিআরইপিএসি) এবং ১৯৮০ সালের এপ্রিলে গঠিত হয় কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টি (কেসিপি)। প্রতিটি গ্রুপই আলাদাভাবে মনিপুর রাজ্যের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। ভারতীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি জানায়, এই গ্রুপগুলোর একটি নীতি ছিলো। তারা রাজ্য পুলিশকে টার্গেট করতো না, শুধু ভারতীয় সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লাড়াই করতো। কারণ এরাই এই অঞ্চলে ছিলো ভারত সরকারের প্রতিনিধি। বিদ্রোহের কারণে ১৯৮০ সালে ভারত সরকার মনিপুরকে ‘অশান্ত অঞ্চল’ হিসেবে ঘোষণা করে এবং সেখানে ভারতের কুখ্যাত সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৫৮ বলবত করা হয়। এই আইনের বিরুদ্ধে রাজ্যের জনগণ প্রতিবাদ অব্যাহত রাখে। এই আইনের কারণে সেখানে বহু মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার লন্ডনের সাংবাদিক সম্মেলনে মনিপুর স্টেট কাউন্সিলের মুখ্যমন্ত্রী ইয়ামবেন বিরেন এবং মনিপুর স্টেট কাউন্সিলের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী নারেংবাম সমরজিত আনুষ্ঠানিকভাবে মনিপুর রাষ্ট্রের প্রবাসী সরকার – মনিপুর স্টেট কাউন্সিল – গঠনের কথা ঘোষণা করেন। লন্ডনে হবে এই প্রবাসী সরকারের দফতর। তারা একটি ডকুমেন্ট তুলে ধরেন, যেখানে মনিপুরের মহারাজার দেয়া কর্তৃত্বের সই রয়েছে। এটি ২০১৩ সালের ১৫ মার্চ দেয়া আদেশ নং ১২/২০১৩। মনিপুর রাজ্যের রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের জন্য এই কর্তৃত্ব দেয়া হয়েছে। এসএএম।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (10)
ash ১ নভেম্বর, ২০১৯, ৫:৩০ এএম says : 0
EVABE VAROT VEGGE 100 TUKRO HOBE ! SHE DIN DURE NOY !
Total Reply(0)
Tajul Islam Taj ১ নভেম্বর, ২০১৯, ৪:৩১ পিএম says : 0
Best of Luck..One day they will have their own country named Manipur...
Total Reply(0)
Abraham Hossain Mamun ১ নভেম্বর, ২০১৯, ৪:৩২ পিএম says : 0
I recognized the independence of Manipur from the United Nations.
Total Reply(0)
Tuhin Reza ১ নভেম্বর, ২০১৯, ৪:৩২ পিএম says : 0
Support from china and pakistan will be shown publicly for sure.
Total Reply(0)
Shifur Rahman ১ নভেম্বর, ২০১৯, ৪:৩২ পিএম says : 0
মনিপুরের স্বাধীনতার পক্ষে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। স্বাধীন হক মনিপুর নিপাত যাক ভারতীয় নষ্ট মানসিকতার শাসকরা
Total Reply(0)
Bulbul Ahmed Noyon ১ নভেম্বর, ২০১৯, ৪:৩৩ পিএম says : 0
ভারতের সবগুলো অঙ্গরাজ্যের পক্ষ থেকে অভিনন্দন। এসব অঙ্গরাজ্য গুলির অনেক কিছু শেখার আছে মনিপুর থেকে।
Total Reply(0)
Asif Khan ১ নভেম্বর, ২০১৯, ৪:৩৩ পিএম says : 0
প্রান ডালা অভিনন্দন রইল & 100%সাপোট রইলো মনিপুরি বাসীর জন্য কাশ্মীরও এভাবে একদিন আলাদা দেশ ঘোষনার অপেক্ষায় আছে সারা পৃথিবীর মানুষ
Total Reply(0)
Ragner Rabby ১ নভেম্বর, ২০১৯, ৪:৩৩ পিএম says : 0
অভিনন্দন মনিপুর।তোমরা যে সাহস দেখালে তাতে অন্যান্য স্বাধীনতা প্রিয় রাজ্যও স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশের জনগণ অবহেলিত স্বাধীনতা প্রিয় মানুষের পাশে থাকবে।
Total Reply(0)
Mokter Hossain ১ নভেম্বর, ২০১৯, ৪:৩৪ পিএম says : 0
শুধু কথার ফুলঝুরিতে হবে না রাস্তায় নেমে পড়ো আন্দোলন করো। আমরা আছি তোমাদের পক্ষে আমরা তোমাদেরকে বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলাম।
Total Reply(0)
Md. Sablul Hoque ২ নভেম্বর, ২০১৯, ১:৪৪ পিএম says : 0
কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির কারণেই দেশ টুকরো টুকরো হয়ে যেতে পারে।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন