আবু বক্কর আল-বাগদাদির মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। গতকাল বৃহস্পতিবার তারা জানিয়েছে, গত সপ্তাহের শেষ দিকে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় মার্কিন বিশেষ বাহিনীর অভিযানে তিনি নিহত হন। আইএস এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছে। খবর রয়টার্সের।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন হামলার ফলে নিয়ন্ত্রণ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে ২০১৪-১৭ সাল পর্যন্ত ইরাক এবং সিরিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল দখল করে কট্টরপন্থী গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দেন আইএস প্রধান বাগদাদি। নিজেকে মুসলমানদের ‘খলিফা’ হিসেবে ঘোষণা করার মধ্য দিয়ে ইরাকে জন্ম নেওয়া এই নেতা আলোচনায় উঠে আসেন।
আইএস অনলাইনে পোস্ট করা একটি অডিও টেপে বাগদাদির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আইএসের গণমাধ্যম শাখা আল-ফুরকানে এক অডিও বার্তায় বাগদাদির উত্তরসূরি হিসেবে আবু ইব্রাহিম আল-হাশেমি আল-কুরাইশিকে নিযুক্ত করার কথা জানানো হয়।
সোয়ানসি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক আয়মেন আল-তামিমি আইএসের ব্যাপারে বলেন, পরবর্তী প্রধানের নামটি অজানা ছিল। তবে হজ আবদুল্লাহ নামে ইসলামিক স্টেটের শীর্ষস্থানীয় এক ব্যক্তিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে চিহ্নিত করেছিল।
ইরাকের ইসলামপন্থী দল আল-কায়েদার সাবেক জ্যেষ্ঠ এই নেতা মোহাম্মদ সাইদ আবদেলরহমান আল-মাওলা নামেও পরিচিত।
বিশ্লেষকেরা তিউনিসিয়ার আবু ওথমান আল-তিউনিসির পাশাপাশি সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে সৌদি আবু আবদুল্লাহ আল-জিজরাবি এবং আবদুল্লাহ কারাদশ নামে বাগদাদির ডান হাতের কথাও ভেবেছিলেন।
ইসলামিক স্টেটের এক মুখপাত্র অডিও বার্তায় ‘মার্কিন জাতি এবং কাফের ও মুরতাদদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ’ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তিনি এ ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করতে বলেছেন।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাগদাদির মৃত্যুর ফলে ইসলামিক স্টেট বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। নতুন নেতা হিসেবে যিনিই আবির্ভূত হোন না কেন, তাঁকে দলটিকে যোদ্ধাবাহিনী হিসেবে ফিরিয়ে আনার কাজটি করতে হবে। আইএস তাদের মুখপাত্র আবু আল-হাসান আল-মুহাজিরের মৃত্যুর বিষয়টিও নিশ্চিত করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন