যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরান কোনো প্রকার আলোচনায় বসবেন না বলে জানিয়েছেন ইরানের শীর্ষস্থানীয় ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। রোববার (৩ নভেম্বর) তেহরানে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস দখল করার ৪০তম বার্ষিকীর এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, 'নিজ দেশে যুক্তরাষ্ট্রের অনুপ্রবেশ বাঁধা দেওয়ার একমাত্র উপায় হল তাদের সঙ্গে সকল ধরনের আলোচনা নিষিদ্ধ করা। যারা চিন্তা করে আলোচনার মাধ্যমে আমাদের শুত্রুদের সঙ্গে সমস্যা সমাধান করা যাবে তারা ১০০% ভুল।'
খামেনি আরও বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র তাদের স্বভাব এখনো পাল্টায়নি। তারা আগের মতই আগ্রাসী এবং আন্তর্জাতিক একনায়কতন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু ইরান দৃঢ় রয়েছে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে আর ইরানে ফিরে আসতে দিবে না।' এ সময় তিনি ফরাসি প্রধানমন্ত্রী এমানুয়েল মাক্রোঁরও সমালোচনা করেন। তিনি মাক্রোঁর সমালোচনা করে বলেন, 'যারা আমাদের শত্রুদের মধ্যে আলোচনা করার চেষ্টা করে তাদের এড়িয়ে চলা উচিৎ।'
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বের হওয়ার পর থেকেই দেশ দুটির মাঝে সম্পর্কের অবনতি হয়। চুক্তি থেকে বের হয়ে ইরানের ওপর একের পর এক অবরোধ দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর এই সমস্যা সমাধানে মাক্রোঁ চলতি বছরের জাতিসংঘ অধিবেশনে ইরানের রাষ্ট্রপতি হাসান রুহানি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের ব্যবস্থা করার জন্য জোর চেষ্টা চালান। কিন্তু এই প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হন তিনি।
আর ১৯৭৯ সালে ইসলামিক বিপ্লবের মাধ্যমে তেহরানে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস দখল করে ইরান। এ সময় দূতাবাসের ভিতরে আটকা পড়েন প্রায় ৫২ জন মার্কিন কর্মচারী। তারা প্রায় ৪৪৪ দিন দূতাবাসটিতে আটক ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন