২০০৪ সালের ১১ নভেম্বর প্যারিসের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় উপশহর ক্লামার্টে মারা যাওয়ার পাঁচ মাস আগে তুরস্ক সরকারকে একটি বার্তা পাঠিয়েছিলেন ফিলিস্তিনের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইয়াসির আরাফাত। এতে পবিত্র শহর আল-কুদস (জেরুজালেম) ও আল-আকসা মসজিদ রক্ষায় অব্যাহত ভূমিকা রাখতে আংকারাকে আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। ফিলিস্তিনি লিবারেশন অরগানাইজেশনেরও (পিএলও) প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ইয়াসির আরাফাত।
প্যারিসের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় উপশহর ক্লামার্টে ২০০৪ সালের ১১ নভেস্বর মারা যান ইসরাইলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়াকু এই নেতা।
তুরস্কের সাবেক এমপি হুসাইন টানরিভারটি সংবাদ সংস্থা আনাদুলকে বলেন, ২০০৪ সালে তিনি রামাল্লায় সফর করেন। ইসরাইলি বাহিনী সেখানে আরাফাতকে তার মুকাত্তায় (প্রধান কার্যালয়) দুই বছরেরও বেশি আটক রেখেছিল।
ফিলিস্তিন সফরের স্মৃতিচারণ করে তুর্কিশ পার্লামেন্টের তুর্কি-ফিলিস্তিনি কমিটির সাবেক এই প্রধান বলেন, আল-কুদস ও আল-আকসা মসজিদ রক্ষার আহ্বানের বার্তা তুর্কি নেতাদের কাছে পৌঁছে দিতে বৈঠকের সময় ইয়াসির আরাফাত তাকে অনুরোধ করেছেন।
হুসাইন তখন তুর্কি পার্লামেন্টের সদস্য ছিলেন। ইয়াসির আরাফাত তাকে বলেছেন, আপনি ও তুর্কিশ জনগণের জন্য আমার একটি বার্তা আছে। আপনারাই হলেন তারা (উসমানীয়) যারা ইতিহাসের বিভিন্ন সময় আল-কুদসকে রক্ষা করেছেন। আপনারাই তারা যারা যারা এই শহরকে হারাম আল-শরিফ আখ্যা দিয়েছিলেন।
‘আল-কুদদের অভিভাবকত্ব আপনাদের। সেই দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে। অতীতে উসমানীয়রা যেভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেছিলেন, আপনাদের সেভাবে এগিয়ে আসতে হবে,’ আরাফাতের এই উদ্ধৃতির কথা জানিয়েছেন সাবেক এই এমপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন