বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

নিজেকে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ঘোষণা সিনেটরের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

বলিভিয়ার সদ্য পদত্যাগ করা প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস মেক্সিকোতে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন। এমন অবস্থায় নিজেকে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন বিরোধী সিনেটর জিয়েনাইন আনেজ। তিনি নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দিলে সিনেটের ওই সেশন বয়কট করেন মোরালেসের দলের সিনেটররা। যে কারণে কোরাম সংকট দেখা দেয় এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে আনেজকে নিয়োগ দিতে ব্যর্থ হয় সিনেট। খবর বিবিসি।

আনেজ নিজেকে সাংবিধানিকভাবে পরবর্তী প্রেসিডেন্টের হিসেবে দাবি করেছেন এবং দ্রæত নির্বাচন দেয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন। তবে মেক্সিকোতে বসে আনেজের এই ঘোষণার নিন্দা জানিয়েছেন ইভো মোরালেস। তিনি এটিকে ডানপন্থী সিনেটরদের একটি অভ্যুত্থান হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। মেক্সিতোতে আশ্রয়ের পর মোরালেস জানিয়েছেন, জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কায় তিনি সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন। তবে তিনি সেখানে থেকেই অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে যাবেন।

৫২ বছরের জিয়েনাইন আনেজ একজন দক্ষ আইনজীবী এবং মোরালেসের একজন কঠোর সমালোচক ছিলেন। তিনি সিরেটর হওয়ার আগে টোটালভিশন টিভি চ্যানেলের পরিচালক ছিলেন। তিনি ২০১০ সাল থেকে জাতীয় সংসদে বেনি অঞ্চল প্রতিনিধিত্ব করে সিনেটর পদে রয়েছেন। বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ও ভাইস-প্রেসিডেন্টর পদত্যাগের পরে সিনেটের ডেপুটি নেতা হিসাবে, আনেজ মঙ্গলবার সিনেট এবং নিম্ন সভায় অস্থায়ী নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিলেন। এটি তাকে সংবিধানের অধীনে প্রেসিডেন্ট হওয়ার সমর্থন দেয়। তাকে নিয়োগের জন্য সংসদীয় অধিবেশন বসলে মোরালেসের বামপন্থী ও সমাজতন্ত্র দলের সমর্থক সদস্যরা বয়কট করেন, ফলে তার নিয়োগ আটকে যায়। সংসদে আনেজ বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ও ভাইস-প্রেসিডেন্টর চ‚ড়ান্ত অনুপস্থিতিতে, চেম্বার অব সিনেটরদের সভাপতি হিসাবে আমি সংবিধানিক আদেশে ও নিয়ম অনুযায়ী অবিলম্বে প্রেসিডেন্ট পদ অধিগ্রহণ করতে যাচ্ছি।’ বলিভিয়ার সর্বোচ্চ সাংবিধানিক আদালতও তার ক্ষমতা গ্রহণের পক্ষে সমর্থন জানায়।

উল্লেখ্য, সপ্তাহব্যাপী ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে গত রোববার প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করেন মোরালেস। ২০০৬ সালে প্রথম আদিবাসী হিসেবে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ইভো তিনি। গেল অক্টোবরে জয়ী হয়ে আবারও ক্ষমতায় আসলেও বিরোধীরা কারচুপির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ শুরু করে। মোরালেস দেশ ছাড়ার আগে অবশ্য আশ্বাস দিয়ে গিয়েছেন, তিনি ফিরবেন, তবে এ বার আরও বেশি ক্ষমতা নিয়ে। পুরো পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রয়েছে আমেরিকার। এমনিতে মোরালেসকে মেক্সিকোর আশ্রয়দান নিয়ে তাদের আপত্তি নেই। কিন্তু আবার ক্ষমতা নিয়ে দেশে ফিরলে ওয়াশিংটন তা যে বিশেষ সুনজরে দেখবে না, তা স্পষ্ট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন