ইনকিলাব ডেস্ক : মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে অন্ততপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ আহত হয়েছেন আরও ৫০ জন ব্যক্তি। বিবিসি বলছে, দেশটির ওয়াঙ্কা রাজ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। গেল সপ্তায় এই রাজ্যেই শীর্ষস্থানীয় দুই ইউনিয়ন নেতাকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। এরই জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। কট্টরপন্থি কর্মকা-ের অতীত ইতিহাস রয়েছে শিক্ষকদের এমন একটি ইউনিয়ন সিএনটিই। এই ইউনিয়নের দুই নেতাকে গ্রেপ্তারের পর থেকে এর সদস্যরা মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চলের সড়কগুলো বন্ধ করে রেখেছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, পুলিশ রাস্তার ব্যারিকেডগুলো সরানোর চেষ্টা চালায়। এ সময় অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা দুই পক্ষের ওপরই গুলি চালানো শুরু করে। আতঙ্ক এবং সহিংসতা উস্কে দেওয়ার লক্ষ্যেই এ কা- ঘটানো হয়। এক বিবৃতিতে মেক্সিকোর জাতীয় নিরাপত্তা কমিশন জানিয়েছে, নসিংলেন শহরের কাছে অভিযান চালানোর সময় পুলিশ কোনো অস্ত্র বহন করেনি। মেক্সিকোর রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি পিমেং শুক্রবার হুঁশিয়ারি জানিয়েছিল, রাজধানী মেক্সিকো সিটির সঙ্গে সংযোগকারী ওয়াঙ্কার মহাসড়ক যদি ব্যারিকেড দিয়ে রাখা হয় তবে তারা তেল পরিশোধনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হবে। ভিন্নমতাবলম্বী সিএনটিই ইউনিয়ন ২০১৩ সালে প্রেসিডেন্ট এনরিক পিনা নিয়েতোর করা শিক্ষা সংস্কার প্রত্যাখ্যান করে। নিয়েতোর ওই সংস্কারে শিক্ষকদের দক্ষতা ও কর্মকা- মূল্যায়নের বিধান রয়েছে। ইউনিয়নের সদস্যরা দাবি করছেন, তাদের নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। গ্রেপ্তার হওয়া রুবেন নুনেজ নামে শিক্ষকদের একজন নেতার বিরুদ্ধে আইন কর্মকর্তারা অর্থ পাচারের অভিযোগ করেছেন। আইন কর্মকর্তা গিলবার্তো হিগুয়েরা দাবি করেছেন, ‘তিনি (নুনেজ) ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে অবৈধভাবে ১৩ লাখ মার্কিন ডলার সংগ্রহ করেন।’ ইউনিয়নের সদস্যদের কাছ থেকে অবৈধভাবে এই অর্থ সংগ্রহ করা হয় বলে আইন কর্মকর্তারা দাবি করছেন। রুবেন নুনেজের ডেপুটি ফ্রান্সিসকো ভিলালোবোসকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পাঠ্যপুস্তক চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে। বিবিসি, রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন