‘থ্যাংকসগিভিং ডে’ উপলক্ষে অঘোষিত এক সফরে আফগানিস্তান গেছেন ট্রাম্প। সেখানে মোতায়েন থাকা মার্কিন সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর আফগানিস্তানে এটাই তার প্রথম সফর। আফগানিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বন্দি বিনিময়ের সপ্তাহ খানেক পর এ সফর করলেন তিনি। বৃহস্পতিবার করা ওই সফরে তালিবানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
খবরে বলা হয়, নিরাপত্তাজনিত কারণে ট্রাম্পের সফর সম্পর্কে আগ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়নি। বৃহ¯পতিবার সন্ধ্যায় আফগানিস্তান পৌঁছান তিনি। সফরে তার সঙ্গী ছিলেন হোয়াইট হাউজের নিরাপত্তা বিষয়ক উপদষ্টা রবার্ট ও’ব্রিয়েন, অল্প কয়েকজন সহচর ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
সেখানে পৌঁছে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, তালিবানরা চুক্তি চায়। আমরা তাদের সঙ্গে দেখা করছি। আমরা যুদ্ধবিরতি চাই, কিন্তু তারা পূর্বে যুদ্ধবিরতির বিপক্ষে ছিল। আমার বিশ্বাস, এখন তারা যুদ্ধবিরতি চাইবে। সম্ভবত চুক্তিটি সেভাবেই সম্পন্ন হবে।
এদিকে, তালিবান নেতারা রয়টার্সকে জানিয়েছে, গত সপ্তাহ থেকে ফের মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাতারে আলোচনা করছে তারা। খুব শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে শান্তি আলোচনা শুরু হতে পারে। প্রসঙ্গত, চলতি বছর দোহায় এর আগেও শান্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসেছিল দুই পক্ষ। প্রায় চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার পর তা ভেস্তে যায়।
ট্রাম্প তার সফরে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির সঙ্গেও দেখা করেছেন। সেখানে মোতায়েন থাকা মার্কিন সেনাদের সঙ্গে থ্যাংকসগিভিং উদযাপন করেছেন। সেনাদের উদ্দেশে বলেছেন, আপনারা এখানে মহান কাজ করছেন। এখানে থাকা সম্মানের বিষয়।
উল্লেখ্য,২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে আল-কায়েদার হামলার পর আফগানিস্তানে সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযান শুরু করে মার্কিন-নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে সেখানে তালিবানের বিরুদ্ধে লড়ছে তারা। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে আফগানিস্তানে মার্কিন সংশ্লিষ্টতার অবসান ঘটাতে জোর প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। তালিবানের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেছে তার প্রশাসন। তবে সেপ্টেম্বরে জঙ্গি গোষ্ঠীটির নেতাদের সঙ্গে এক পরিকল্পিত বৈঠক বাতিল করে দেন তিনি। ওই বৈঠকে শান্তিচুক্তি চ’ড়ান্ত করার কথা ছিল। এরপর থেকে আফগানিস্তানে তালিবানে সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। জবাবে, তাদের ওপর হামলার পরিমাণ বাড়িয়েছে মার্কিন বাহিনীও। অবশেষে চলতি মাসে দুই পক্ষের মধ্যে বন্দি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। ফলে ফের জেগে ওঠে শান্তিচুক্তির প্রত্যাশা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন