পশ্চিমী কোর্ট টাই নয় বরং এদেশিয় কুর্তা, নেহরু জ্যাকেট আর ট্রাউজার্স পরে রবিবার এসেছিলেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৯ সালের অর্থনীতির নোবেল পুরস্কার প্রাপকের ভাষণ দিতে। সেই ভাষণে তিনি তার কার্য পদ্ধতি ব্যাখ্যা করলেন। আরসিটি (র্যান্ডমাইজড কন্ট্রোলড ট্রায়াল) এসে কেমন পাল্টে দিয়েছে অর্থশাস্ত্রের গতিপ্রকৃতি। আর সেকথা বলতে গিয়ে প্রচলিত বিশ্বাসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে অভিজিতের ত্বত্ত, গরিবের হাতে টাকা দিলে তারা আদৌ অলস হয়ে পড়েন না। নিছক বৌদ্ধিক চর্চার এটা ক্ষেত্র নয়, বরং অর্থনীতির বিভিন্ন প্রকল্পও এখন তৈরি হচ্ছে আরসিটির ঘরানায়। এজন্য তার কাজের পদ্ধতি অর্থনীতির চিরায়ত ভাবনার সঙ্গে ঠিক খাপ খায় না। তিনি বোঝালেন দারিদ্র্য দ‚র করতে তার পদ্ধতি কেমন ভাবে কার্যকর হতে পারে। দাবি করলেন, অর্থনীতির ম‚ল সুরের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই তিনি একেবারে তৃণম‚ল স্তর থেকে কাজ শুরু করছেন এবং সেখানে প্রধান ভ‚মিকা হল মানুষ, সমাজ ও তার ব্যবহারিক দিকগুলি। দারিদ্র্য দ‚রীকরণে পথ খুঁজতে গিয়ে অভিজিৎ দেখতে চেয়েছেন, কোনও দরিদ্র ব্যক্তিকে অর্থসাহায্য করলে কি তিনি আদৌ অলস হয়ে পড়েন কিংবা ধনী হলেই কি মানুষ আদতে অলস কি না? কলকাতা২৪।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন