ইনকিলাব ডেস্ক : মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের মুসলিম অধিবাসীদেরকে এখন থেকে আর রোহিঙ্গা নামে ডাকা যাবে না। রোহিঙ্গা শব্দের বদলে ‘ইসলামে বিশ্বাসী জনগোষ্ঠী’ হিসেবে পরিচিত হবেন তারা। দেশটির মুসলিম অধিবাসীদের পরিচয়কে খাটো করা অপমানসূচক ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি সরকারিভাবে নিষিদ্ধ করে এই নির্দেশনা জারি করেছে অং সান সু চি’র নতুন সরকার। দীর্ঘদিন ধরে জাতিগত সংঘাতের শিকার মিয়ানমারের এই জনগোষ্ঠীর পক্ষে সরব হয়েছে সারা বিশ্ব, নড়েচড়ে বসেছে জাতি সংঘ। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আগামী সপ্তাহে জাতি সংঘের বিশেষ প্রতিনিধি ইয়াংহি লি মিয়ানমার সফর করবেন। বৌদ্ধ সংখ্যা গরিষ্ঠের দেশটিতে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের শিকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছে রাখাইন প্রদেশের মুসলিমরা। নির্বিচারে চলছে হত্যাযজ্ঞ। এমন পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের সংঘটিত এসব ঘটনাকে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ হিসেবে বিবেচনা করার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে জাতি সংঘ। তাই জাতি সংঘের বিশেষ প্রতিনিধির এ সফর সামনে রেখেই মানবাধিকারের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করে সু চি নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়। প্রসঙ্গত, মায়ানমারে শেষ গণতান্ত্রিক নির্বাচনের অং সান সুচির জয়ের মধ্য দিয়ে ৫৬ বছর সামরিক শাসনের পর মায়ানমারে এই প্রথম গণতান্ত্রিক সরকার যাত্রা শুরু। থিন কিয়াও এখন থেইন সেইনের স্থলাভিষিক্ত হন। তবে মায়ানমারের সব ক্ষমতা সুচির হাতেই রয়েছে বলে মনে করছেন সেখানকার রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। থিন কিয়াওর আড়ালে সুচিই মায়ানমার সরকার চালাবেন। থিন কিয়াওর পাশাপাশি উপ-রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন হেনরি ভ্যান থাও ও মিন্ট সুই। সংসদের উভয় কক্ষে সুচির দল সংখ্যাগরিষ্ঠ। তবে দেশটির প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র ও সীমান্ত বাহিনীর ক্ষমতা সেনাবাহিনীর হতে। এছাড়া মায়ানমার সংসদের ২৫ শতাংশ আসন সেনাবাহিনীর জন্য সংরক্ষিত। বিবিসি, এপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন