শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

নাগরিক আইন বৈষম্যমূলক

ভারতকে তোপ জাতিসঙ্ঘের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে উত্তাল ভারত। এই আইনের প্রতিবাদে সরব বিভিন্ন মহল। এবার মোদি সরকারের এ আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল জাতিসঙ্ঘ। এই আইন মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যমূলক’ বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার সংক্রান্ত দফতর।
গতকাল জেনিভায় এই সাংবাদিক বৈঠকে জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার সংক্রান্ত দফতরের মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স বলেন, ‘ভারতের নতুন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চরিত্রগতভাবে বৈষম্যমূলক। এই আইন নিয়ে আমরা চিন্তিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এই আইন খতিয়ে দেখতে চলেছে। এই আইন পর্যালোচনায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার রক্ষার ভারতের দায়বদ্ধতার প্রসঙ্গটিও আদালত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।’
নয়া নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে সারা ভারত উত্তাল। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতোমধ্যে আসাম এবং ত্রিপুরায় মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী। উত্তরপূর্বের আর এক রাজ্য মেঘালয়ের পরিস্থিতিও ক্রমশ ঘোলাটে হচ্ছে। গোটা পরিস্থিতিতে এমনিতেই অস্বস্তিতে মোদি সরকার। এর মধ্যে কেন্দ্রের অস্বস্তি বাড়াল জাতিসঙ্ঘ।
ভারতের নাগরিকত্ব বিল নিয়ে দেশের বাইরে এর আগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চাইল আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতার যুক্তরাষ্ট্রীয় মার্কিন কমিশন। স¤প্রতি ইউএস কমিশন ফর ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, ‘যদি ক্যাব সংসদের উভয় পক্ষে পাশ হয়ে যায়, তাহলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও কেন্দ্রের প্রধান নেতৃত্বের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আনা উচিত আমেরিকার।’
মোদি সরকারের বিতর্কিত নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে আসামে প্রথম বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। সেখান থেকে তা ছড়িয়ে পড়ে ত্রিপুরায়। উদ্ভ‚ত পরিস্থিতিতে এই দুই রাজ্যে সেনাবাহিনীর সহায়তা নিচ্ছে প্রশাসন। এদিকে, সময় যত বাড়ছে দেশের রাজ্যেও দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ছে বিক্ষোভের আগুন।
শুক্রবার মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে বিশাল বিক্ষোভ সংগঠিত হয়েছে। ক্ষিপ্ত জনতাকে পুলিশ লাঠিচার্জও করে। শিলং থেকে ২৫০ কিমি দূরে বিক্ষোভের মুখে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা। পাশাপাশি রাজধানী দিল্লিতেও এই বিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সংগঠিত হয়েছে। জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন।
পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকেও গতকাল সকাল থেকে রেল অবরোধ-বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গাতেও আরপিএফ কর্মীদের মারধর করা, কেবিনম্যানকে পেটানো থেকে আগুনও লাগানো হয় স্টেশনে। ডায়মন্ড হারবার শাখার বাসুলডাঙাতেও এবং বারুইপুর-ডায়মন্ড হারবার শাখায় রেল অবরোধ করেন এই আইনের বিরোধীরা। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া ও রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন