আমেরিকার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার আলোচনা প্রক্রিয়া আবার শুরু করতে ভূমিকা রাখার জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার লক্ষ্যে এ সংলাপ অত্যন্ত জরুরি বলে মন্তব্য করেছে সিউল। বেইজিং সফররত দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন সোমবার চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতে এ আহ্বান জানান।তিনি বলেন, কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়ার কাজে চীন সহযোগিতা করলে এ কাজে সিউল বেইজিংয়ের পাশে থাকবে। সাক্ষাতে শি জিন পিং বলেন, বর্তমান বিশ্বের ওপর একটি দেশের মোড়লিপনা গোটা বিশ্ব ব্যবস্থা এবং এর শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। তিনি এ পরিস্থিতির অবসান কামনা করেন। চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে অংশ নিতে মুন জায়ে-ইন বর্তমানে বেইজিং সফরে রয়েছেন। ২০১৭ সালে জুন মাস থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের মধ্যে তিন দফা বৈঠক হয়। কিন্তু এসব বৈঠকে দু’দেশের মধ্যকার মতবিরোধ বিন্দুমাত্র প্রশমিত হয়নি।শীর্ষ বৈঠকগুলো ব্যর্থ হয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে আমেরিকার আগ্রাসী মনোভাবকে দায় করেছে উত্তর কোরিয়া। অপর দিকে, আমেরিকা ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ শুরুর আশংকা দেখা দিয়েছে। উত্তর কোরিয়া অনেকটা প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বলেছে, তারা ক্রিসমাস ডে-তে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে আমেরিকাকে সারপ্রাইজ দিতে পারে। অন্যদিকে আমেরিকা বলেছে, এর জবাব দেয়ার জন্য তারা পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুত রয়েছে। পিয়ংইয়ং বলেছে, যদি আমেরিকা শান্তি আলোচনার টেবিলে না আসে তাহলে তারা ওয়াশিংটনের চাপের কাছে আত্মসমর্পণ করবে না এবং এ নিয়ে তাদের হারানোর কিছু নেই। জবাবে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার বলেছেন, “মার্কিন সেনারা আজ রাতেই যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।” অবশ্য, একইসঙ্গে এসপার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, “আমি আশা করি যে, আমরা আাবার কূটনৈতিক পথে আলোচনা শুরু করতে পারব।” এ সময় মার্কিন জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান মার্ক মিলি বলেছেন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক অত্যন্ত মজবুত; এই জোট তাদের স্বার্থ রক্ষা করতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, কোরিয়া হচ্ছে এমন একটি এলাকা যেখানে মার্কিন সেনারা সবসময় উচ্চতর প্রস্তুতি বজায় রেখে চলে। পার্সটুডে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন