ইনকিলাব ডেস্ক : ব্রিটেনের শীর্ষ আইনজীবী বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের ব্যাপারে গণভোটের পরও এটি অনুমোদন করতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভোটের প্রয়োজন হবে। জিওফ্রে রবার্টসন তার ডাউটি স্ট্রিট চেম্বারে এর প্রভাব সম্পর্কে কোনো মন্তব্য না করে বলেন, এটাই সঠিক আইনগত পন্থা। তিনি বলেন, ১৯৭২ সালের ইউরোপীয় কমিউনিটিস অ্যাক্টের আওতায় ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হয়েছিলো। এখন এর বিপরীতে একটি বিল অবশ্যই সংসদে পাস হতে হবে। তবে, এমপিরা ব্রেক্সিটের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সঙ্কটের অবসান না হওয়া পর্যন্ত ভোটাভুটিতে অংশ নিতে পারবেন না। তিনি বলেন, আমাদের সংবিধান অনুযায়ী একজন এমপির এই আইন ভাঙ্গার অধিকার আছে। অতএব, গণভোটে কি হলো না হলো, তাতে কিছু যায় আসে না। এটা সম্পূর্ণভাবে নির্ধারণ করবেন এমপিরা। শীর্ষ এই আইনজীবী আরও বলেন, ১৯৭২-এর কমিউনিটিস অ্যাক্ট একটি ভালো আইন এটি সংশোধন না করা পর্যন্ত সেভাবেই থাকবে। নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ইউরোপিয়ান কমিউনিটিস সংশোধনী বিল সংসদে উত্থাপন করবেন বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, এমপিরা যদি মনে করেন এর বিরুদ্ধে বা পক্ষে ভোট দেবেন, সে অধিকার তাদের আছে। বিষয়টির এখনো সুরাহা হয়ে যায়নি। তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন, ব্রিটেনের জন্য কোনটা ভালো বা মন্দ সে ব্যাপারে। ব্রিটেনের গণতন্ত্রের মানে এই নয় যে, সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতই আইন। এখানে গণতন্ত্র জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে, জনগণ গণতন্ত্রে নয়। তাই আমাদের মৌলিক গণতান্ত্রিক ধারা মতে, এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে পার্লামেন্ট। দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন