প্রবল তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ডে কয়েক ফুট উঁচু তুষার জমে যাওয়ায় জরুরি সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া বিভাগ। ভারী তুষারপাতের কারণে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না স্থানীয়রা। শুক্রবার আটলান্টিকের উপলকূলীয় এলাকায় ১’শো ২০ কিলোমিটার গতিতে দমকা হাওয়া বয়ে যায়। এছাড়া তীব্র তুষারপাতের কারণে রাজধানী অটোয়াতে জারি করা হয়েছে জরুরি সতর্কতা।
এসটি জন’স আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় ৭৭ সেন্টিমিটার পর্যন্ত তুষার জমে, ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কার্যক্রম। ১৯৯৯ সালের পর এমন তুষারপাত হয়নি বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে তুষারঝড়ের আঘাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলের জনজীবন। ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে স্কুল-কলেজ ও সব সরকারি প্রতিষ্ঠান। বাতিল করা হয়েছে শতাধিক ফ্লাইট। চলতি সপ্তাহেই আরো কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে তুষারঝড় আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করেছে দেশটির আবহাওয়া দফতর।
১৭ জানয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা, মিশিগানসহ বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের ওপর দিয়ে বয়ে যায় তুষার ঝড়। দমকা বাতাসের পাশাপাশি ভারি তুষারপাতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বেশ কিছু এলাকা। রাস্তায় তুষার জমে যাওয়ায় ব্যাহত হয় যান চলাচল।
স্থানীয়রা বলছে, কয়েকদিন অবস্থা এমনই থাকবে। তাই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে, আবার বাড়িতে ফিরে আসবো।
তারা বলছেন, পরিস্থিতি একদমই ভালো নয়। অনেক জায়গায় ৮ থেকে ১০ ইঞ্চি বরফ জমে গেছে। যারা বাসা থেকে বের হতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে বের হবেন। নিজেদের সুরক্ষায় দেশজুড়ে অন্তত ১২ কোটি মানুষকে সর্তক থাকার পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন