বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

মায়ানমারে অর্ধশতাব্দী পর গণতান্ত্রিক সংসদের যাত্রা

সামরিক স্বৈরতন্ত্র পেছনে ফেলে নতুন যুগের সূচনা

প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : প্রায় ৫০ বছর পর মায়ানমারে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সংসদের অধিবেশন শুরু হয়েছে। সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী অং সান সু চি’র দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) সদস্যসহ অন্যরা প্রথম অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন। গতকাল সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ অধিবেশন শুরু হয়। সংসদের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর দিয়েছে। তবে, এনএলডি প্রধান সু চি’র সংসদে যোগদানের বিষয়ে কিছু জানায়নি সংবাদমাধ্যম। প্রায় অর্ধশতক সামরিক শাসনের পর গত নভেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় মায়ানমারে। নির্বাচনে সংসদের ৮০ শতাংশ আসনে জয়লাভ করে এনএলডি। সংবিধান অনুযায়ী সংসদের কোয়ার্টার ভাগের (এক চতুর্থাংশ আসন) নিয়ন্ত্রক সেনাবাহিনী। সংবাদমাধ্যম বলছে, সংসদের যাত্রা হলেও সরকার গঠন করতে মার্চের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে এনএলডিকে। ৩১ মার্চ বর্তমান প্রেসিডেন্ট থিন সেইন পদত্যাগ করলেই সরকার গঠনের দ্বার উন্মুক্ত হবে তাদের।
অবশ্য, সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না ব্রিটিশ নাগরিকের স্ত্রী সু চি। হিসেবে নবগঠিত সংসদের সদস্যরাই প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করবেন কাউকে। রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, সুচি প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হতে না পারলেও তার দলের মধ্য থেকেই কেউ নির্বাচিত হবেন। তার মাধ্যমেই সু চি রাজনীতি ও নীতি-নির্ধারণে ভূমিকা রাখতে পারবেন। মিয়ানমারের অবিসংবাদিত নেত্রী অং সান সুচির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) গত নভেম্বরের নির্বাচনে ৮০% আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু মিয়ানমারের সংবিধান অনুযায়ী পার্লামেন্টের এক-চতুর্থাংশ আসন সেনাবাহিনীর জন্য সংরক্ষিত এবং তাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্ব দিতে হবে। পার্লামেন্টের প্রথম ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো একজন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা যিনি দেশ পরিচালনা করবেন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন এ বছর মার্চ মাসের শেষে পদত্যাগ করবেন।
মিয়ানমারের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হতে পারেন তা নিয়ে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা চলছে। সুচির ঘনিষ্ঠ এক আত্মীয়ের বরাত দিয়ে স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যম বলেছে, সম্ভবত সুচির ব্যক্তিগত ডাক্তার প্রেসিডেন্ট হতে পারেন। ১৯৬৮ সালে তৎকালীন গণতান্ত্রিক সরকারকে সরিয়ে সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণের পরে আবারো গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে আসছে মিয়ানমার। সবকিছু ঠিক থাকলে এ বছরের এপ্রিলে গণতান্ত্রিক সরকার সুচির নেতৃত্বে তাদের যাত্রা শুরু করবে। বিবিসি, রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন