অনেক সময় সর্দি-কাশি ছাড়াও গলার ভিতরে খুব ব্যথা করে। ঢোক গিলতে ,কথা বলতে গেলেও খুব কষ্ট হয়। এই ব্যথা সাধারণত টনসিলে ইনফেকশনের কারণে হয়ে থাকে। মূলত ঠান্ডা লাগলেই টনসিলে সংক্রমণ হয়। এই সমস্যা যে কোনও বয়সেই হতে পারে। টনসিলের ব্যথা কমাতে বাজারচলতি অনেক ওষুধ রয়েছে ঠিকই। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে, ওষুধের সাইড এফেক্টও কিন্তু মারাত্মক! কাজেই প্রথমেই গাদা গাদা ওষুধ না খেয়ে, ঘরোয়া উপায়ে টনসিলের মোকাবিলা করতে হবে। আসুন, জেনে নেওয়া যাক টনসিলের ব্যথা কমানোর কয়েকটি ঘরোয়া টোটকা।
১। হলুদ দুধ: এক কাপ গরম দুধে এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে নিন। ছাগলের দুধ টনসিলের ব্যথা দূর করতে বেশ কার্যকরী। কারণ, ছাগলের দুধে অ্যান্টিব্যায়টিক উপাদান আছে। তবে ছাগলের দুধ না পেলে গরুর দুধে সামান্য হলুদ মিশিয়ে সেটিকে সামান্য গরম করে খেলেও উপকার পাওয়া যায়। হলুদ অ্যান্টি ইনফ্লামেন্টরী, অ্যান্টি ব্যায়টিক এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি উপাদান যা গলা ব্যথা দূর করে টনসিলের সংক্রামণ দূর করতে সাহায্য করে থাকে।
২। লবণ পানি: গলা ব্যথা শুরু হলে যে কাজটি আমরা প্রায় সকলেই করে থাকি তা হল, সামান্য উষ্ণ লবণ পানি দিয়ে গার্গল করা। লবণ পানি টনসিলের সংক্রামণ রোধ করে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, উষ্ণ লবণ পানি দিয়ে কুলকুচি করলে গলায় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রামণের আশঙ্কাও অনেক কমিয়ে দেয়।
৩। লেবুর রস ও মধু: ২০০ মিলিগ্রাম উষ্ণ গরম পানিতে এক চামচ লেবুর রস, এক চামচ মধু, আধা চামচ লবণ ভাল করে মিশিয়ে নিন। যত দিন গলা ব্যথা ভাল না হয়, তত দিন পর্যন্ত এই মিশ্রণটি সেবন করুন। টনসিলের সম্যসা দূর করার জন্য এটি খুবই কার্যকরী।
৪। আদা চা: দেড় কাপ পানিতে এক চামচ আদা কুচি আর আন্দাজ মতো চা দিয়ে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। দিনে অন্তত ২-৩ বার এটি পান করুন। আদার অ্যান্টি ব্যকটেরিয়াল, অ্যান্টি ইনফালামেন্টরি উপাদান সংক্রামণে বাধা দেয়। এর সঙ্গে সঙ্গে গলার ব্যথা কমিয়ে দিতেও এটি অত্যন্ত কার্যকরী।
৫। গ্রিন টি ও মধু: ৩ কাপ পানিতে আধ চা চামচ গ্রিন টি ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে মিনিট দশেক ফুটিয়ে নিন। দিনে বার তিনেক এই চা খান। গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, শরীরকে জীবাণুর সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে। মধুর অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল উপাদান টনসিলে সংক্রমণ ঠেকায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন