শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

করোনা আতঙ্কে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা স্থগিত, সুপ্রিম কোর্টে বিজেপি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ মার্চ, ২০২০, ৪:৩৫ পিএম

মধ্যপ্রদেশে আস্থা ভোটের মুখে কায়দা করে ১০ দিনের সময় বের করে নিয়েছে কমল নাথ সরকার, এই অভিযোগ করেছে বিজেপি। সোমবারই রাজ্যপাল লালজি ট্যান্ডন কয়েক মিনিট ভাষণের পরে নাটকীয়ভাবে বিধানসভা অধিবেশন করোনা সংক্রমণ এড়াতে আগামী ২৬ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করার ঘোষণা হয়। এর ফলে মধ্য প্রদেশের কমল নাথের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার আস্থা ভোটের প্রস্তুতিতে অতিরিক্ত ১০ দিনের সময় পেল।

রাজ্যপাল বিধানসভা অধিবেশনে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকারকে ‘সংবিধান মেনে চলার’ জন্যে অনুরোধ করেন, তখনই বিধানসভায় জোর স্লোগান ওঠে আগে আপনি ‘বিধানসভাকে সম্মান করুন’। এরপরেই তিনি অধিবেশন থেকে বেরিয়ে যান।

এদিকে কমল নাথ সরকার যেভাবে বিধানসভার অধিবেশন স্থগিত করে দিয়েছে এর বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মধ্যপ্রদেশে আস্থা ভোট করানোর পক্ষে সওয়াল করেছে তারা। ওই বিরোধী দল ক্ষমতাসীন কংগ্রেসকে ক্ষমতা থেকে সরানোর বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। সম্ভবত আগামীকাল (মঙ্গলবার) সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয়ে শুনানি হবে।

এর আগে মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল রাজ্য বিধানসভার স্পিকারকে আস্থা ভোট আয়োজন করার জন্যে পরামর্শ দেন। ‘মধ্যপ্রদেশের মর্যাদা রক্ষার জন্যে সবাইকে সংবিধানের আওতাভুক্ত আইন অনুসরণ করতে হবে’, বলেন তিনি। হোলির দিন কংগ্রেস সরকার থেকে পদত্যাগ করেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তার সঙ্গে সঙ্গে কমল নাথ সরকারের বিধানসভা থেকে পদত্যাগ করেন তার ঘনিষ্ঠ বিধায়করাও। এর ফলে সঙ্কট ঘনায় ১৫ মাস বয়সী কমল নাথ সরকারের উপর।

এর আগে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ রাজ্যপাল লালজি ট্যান্ডনকে চিঠিতে জানান, ‘স্পিকারের কাজে হস্তক্ষেপ করার অধিকার রাজ্যপালের এক্তিয়ারভুক্ত নয়।’ কিন্তু তা সত্ত্বেও রাজ্যপাল বিধানসভায় দাঁড়িয়ে আস্থা ভোটের পক্ষেই সওয়াল করেন। এরপরেই শাসক দল কংগ্রেসের বিধায়ক এবং বিরোধী বিজেপির বিধায়কদের মধ্যে তুমুল হট্টোগোল শুরু হয়। রাজ্যপাল বিধানসভা ভবন ত্যাগ করার পরে ‘হাম হোঙ্গে কামিয়াব’ স্লোগান দিতে দিতে বিধানসভা কক্ষ ত্যাগ করেন বিজেপির বিধায়করাও।

মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় কংগ্রেসের পক্ষে ১০৮ জন বিধায়কের সমর্থন থাকার কথা, জোটসঙ্গীদের পক্ষে আরও ৭ জন বিধায়কের সমর্থনও রয়েছে। যদি ২২ জন বিধায়কেরই পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়, তাহলে নতুন করে নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে কমল নাথ সরকারকে, কেননা পদত্যাগ গৃহীত হলে কংগ্রেসের পক্ষে বিধায়ক সংখ্যা কমে ১০৪ এর কমে চলে যাবে, ওদিকে ১০৭ জন বিধায়ক থাকায় সরকার গড়তে পারবে বিজেপি। সূত্র: টিওআই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন