শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

করোনার জের : তেলের দাম ১৮ বছরে সর্বনিম্নে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ মার্চ, ২০২০, ৫:৪৭ পিএম

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সারাবিশ্বেই কমে গেছে তেলের চাহিদা। এর প্রভাব পড়েছে দামের ক্ষেত্রেও। ইতোমধ্যেই গত ১৮ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে অপরিশোধিত তেলের দাম।
সোমবার লেনদেনের একপর্যায়ে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম দাঁড়ায় ২২ দশমিক ৫৮ মার্কিন ডলার প্রতি ব্যারেল। ২০০২ সালের নভেম্বরের পর থেকে এত বড় দরপতন আর দেখা যায়নি।
এদিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দামও নেমে এসেছিল ২০ ডলারের নিচে, যা ১৮ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। দাম কমেছে মার্স ইউএস, ওপেক বাসকেট, ইউরালসসহ সবধরনের অপরিশোধিত তেলেরই।
গত একমাসে তেলের দাম কমেছে অর্ধেকেরও বেশি। এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে বিশ্বব্যাপী চাহিদা কমে যাওয়াকে। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বেশিরভাগ দেশই যানবাহন চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। ফলে সবখানেই জ্বালানি তেলের চাহিদা কমে গেছে ব্যাপকভাবে।
এছাড়াও মূল্যহ্রাসের পেছনে রয়েছে সৌদি আরব-রাশিয়ার মধ্যে চলমান মূল্যযুদ্ধের প্রভাবও। এ মাসের শুরুর দিকে তেলের উৎপাদন কমানোর বিষয়ে সৌদি নেতৃত্বাধীন ওপেকভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দেয় বিশ্বের অন্যতম তেল উৎপাদক রাশিয়ার। ফলশ্রুতিতে তাদের শিক্ষা দিতে তেলের দাম অনেক কমিয়ে দেয় সৌদি আরব।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক ব্যাংক মরগান স্ট্যানলের বিশ্লেষক ডেভিন ম্যাকডারমট বলেন, ক্রমবর্ধমান লকডাউনের সঙ্গে তেলের দাম তাল মেলাতে ব্যর্থ হয়েছে। এতে বিশ্বব্যাপী চাহিদা ২০ শতাংশ কমে যেতে পারে। ফলে বিশ্বজুড়ে তেলের ধারণক্ষমতা ছাড়িয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
এদিকে, করোনাভাইরাস মহামারির ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল। সম্প্রতি দাতাসংস্থাটির প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা মন্দার যুগে প্রবেশ করেছি। ২০০৯ সালে বিশ্বজুড়ে যে মন্দা দেখা দিয়েছিল, এবারের অবস্থা তার চেয়েও কঠিন হবে।’ তার মতে, মহামারির কারণে বিশ্ব অর্থনীতি ‘আচমকাই স্তব্ধ’ হয়ে গেছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন