রোববার স্থানীয় সময় সকাল নয়টায় মালয়েশিয়ার দ্বীপ রাষ্ট্র লাংকাউয়ি সাগরের ১.২ নটিক্যাল মাইল দূরে নৌকা বোঝাই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, অবৈধভাবে সাগর পথে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের অপেক্ষায় ছিলো তারা। এসময় তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত রোহিঙ্গাদের মধ্যে ১৫২ জন পুরুষ, ৪৫ জন নারী ৫ জন শিশুসহ ২০২।
এদিকে বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হলে আমরা তাদেরকে কেডা ইমিগ্রেশন এর হাতে সোপর্দ করি এবং তাদের বিরুদ্ধে ইমিগ্রেশন আইনে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ বলছে এই মুহূর্তে সবাই যখন করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্বিগ্ন ঠিক তখনই মানবপাচারকারীরা সুযোগ নিচ্ছে নানা অবৈধ উপায়ে উদ্দেশ্য হাসিল করার।
মালয়শিয়ার অভিজাত পর্যটন এলাকা লঙ্কাউইর কাছে একটি রিসোর্টের এক নটিকাল মাইলের মধ্যে পাওয়া গেছে এই নৌকাটি। মালয়েশিয়ার একটি উপদ্বীপের পশ্চিম তীর এটি। এই তথ্য নিশ্চিত করেছে মালয়েশিয়ার নৌবাহিনী।
স্থানীয় গণমাধ্যমে দেখা গেছে, এলাকাবাসী বলছে সেখানে ভোর পাঁচটার দিকে কাঠের একটি নৌকা দেখা যায়। তখন একজন গ্রামবাসী পুলিশকে ঘটনাটি জানায় ও পুলিশ তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
তবে সেখান থেকে তিনজন পাচারকারী পালিয়েছেন বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়ায় ঢুকতে চেষ্টা করা দলটি। তাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা হবে। রোহিঙ্গাবাহী এই নৌকাটি কোথা থেকে এসেছে এ বিষয়ে এখনো কিছু জানায়নি মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ।
অবৈধভাবে মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ায় যেতে গিয়ে গত বছরগুলোতে নৌকা ডুবে অথবা দালালদের নির্যাতনে অনেক রোহিঙ্গার প্রাণ গেছে। অনেক নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
সম্প্রতি মালয়েশিয়ার হিউম্যান রাইটস কমিশন এবং ব্যাংকক ভিত্তিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান ফর্টিফাই রাইটস এক যৌথ প্রতিবেদনে বলেছে, মানব পাচারকারীরা রোহিঙ্গাদের সাথে যা করছে তা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের সামিল। "তারা হত্যা করছে, নির্যাতন করছে, জোর করে কাজ করাচ্ছে, ধর্ষণ করছে।"
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন